সিদ্ধ ডিম খাওয়ার সঠিক সময় - সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা? বিস্তারিত জেনে নিন?

আজকে আমরা জানবো যে আমাদের শরীরের প্রোটিনের জন্য সিদ্ধ ডিম খাওয়ার সঠিক সময় সারাদিনে কখন হয়ে থাকে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা কি কি হয়ে থাকে আমাদের শরীরের জন্য। আসুন জানি?

ভূমিকাঃ

আমরা যারা পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছে তারপর থেকে আমাদের জীবনে ডিম খাওয়া শুরু হয়েগেছে। কেননা ছোট হোক কিংবা বড় ডিম সবাই খাই। আর এটি খেলে আমাদের শরীরের প্রোটিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। যেটি আমাদের প্রত্যেক মানুষকে খাওয়া উচিত।

তাই আসুন জেনে রাখি, আমাদের শরীরের প্রোটিনের জন্য সিদ্ধ ডিম খাওয়ার সঠিক সময় কখন হয়ে থাকে সারাদিনে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানুন যে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা কি কি। নিম্নে বিস্তারিত......।

সিদ্ধ ডিম খাওয়ার সঠিক সময়ঃ

সিদ্ধ ডিম খাওয়ার সঠিক সময় হলো সকালে নাস্তার সময়। সকালে ডিম খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান সহজে শোষিত হয় এবং সারাদিন শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে যেকোনো কাজে আমাদের সহজে মন বসে। বিশেষ করে ব্যায়াম করার আগে বা পরে সিদ্ধ ডিম খেলে পেশি গঠন ও হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন সকালে ১-২টি সিদ্ধ ডিম খাওয়া শরীরের জন্য সবচেয়ে উপকারী বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতাঃ

সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা অনেক আমাদের শরীরে। ডিমে থাকে প্রোটিন, ভিটামিন, আয়রন, ক্যালসিয়াম ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, যা শরীরকে শক্তি জোগায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই নিয়মিত সিদ্ধ ডিম খাওয়া ভাল। প্রতিদিন ডিম খেলে কি হয় আমাদের শরীরের জেনে নিন?

  1. শরীরের পেশি মজবুত হয় ও প্রোটিন পেশি গঠনে সাহায্য করে।
  2. মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায় ডিমে থাকা কোলিন মস্তিষ্কের কোষ সক্রিয় রাখে।
  3. চোখের দৃষ্টি ভালো থাকে ও এতে থাকা লুটিন ও জিয়াজ্যানথিন চোখের জন্য উপকারী।
  4. ওজন কমাতে সাহায্য করে। সিদ্ধ ডিম খেলে পেট ভরা থাকে, ফলে অপ্রয়োজনীয় খাবার কম খাওয়া হয়।
  5. ত্বক ও চুল ভালো থাকে এবং ডিমে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল ত্বককে উজ্জ্বল করে ও চুল পড়া রোধ করে।
  6. সিদ্ধ ডিম খেলে আমাদের শরীরের হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় ও কোলেস্টরল বাড়িয়ে হৃদ ভাল রাখে।

তাই প্রত্যেক মানুষকে দিনে একটা হলেও সিদ্ধ ডিম খাওয়া উচিত।

রাতে সিদ্ধ ডিম খেলে কি হয়ঃ

রাতে সিদ্ধ ডিম খেলে শরীরের জন্য কিছু ভালো দিক থাকে বয়ে আনে। রাতে ঘুমানোর আগে একটি সিদ্ধ ডিম খেলে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হয়, যা পেশি মেরামত ও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে ও একটা শান্তার ঘুম আসে। সিদ্ধ ডিম খেলে আমাদের শরীরের পুষ্টি সরবরাহ করে যাতে আমাদের শরীর অনেক উপকার পেয়ে থাকে। সিদ্ধ ডিম খেলে এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে।

ফলে মাঝরাতে ক্ষুধা লাগে না। ডিমে থাকা ভিটামিন ডি, বি৬ যা আমাদের শরীরের গ্যাস্ট্রিক দূর করতে সাহায্য করে। রাতে যদি ডিম খেতে চান, তবে ঘুমানোর অন্তত ১.৫ থেকে ২ ঘণ্টা আগে খাওয়া সবচেয়ে ভালো। এতে শরীর সহজে পুষ্টি গ্রহণ করতে পারে এবং হজমের সমস্যাও হয় না। যাতে করে আমাদের শরীর যথেষ্ট পরিমাণে সুস্থ্য থাকে।

খালি পেটে সিদ্ধ ডিম খেলে কি হয়ঃ 

খালি পেটে সিদ্ধ ডিম খাওয়া শরীরের জন্য বেশ উপকারী হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে একটি বা দুটি সিদ্ধ ডিম খেলে শরীরে প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান দ্রুত শোষিত হয়, যা সারাদিনের শক্তি জোগাতে সাহায্য করে আমাদের শরীরে। এটি পেট ভরা রাখে, ফলে অপ্রয়োজনীয় খাবার খাওয়ার প্রবণতা বা তৃষ্ণা কমে যায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।

তবে যাদের হজমে সমস্যা বা গ্যাসের সমস্যা তারা ডিম খাওয়া থেকে বিরতি থাকবেন। সিদ্ধ ডিম খেলে আমাদের উদ্যম শক্তি ও বুদ্ধি ভাল রাখে এর সাথে সাথে শরীরও সতেজ থাকে।

প্রতিদিন কয়টি ডিম খাওয়া ভালঃ

প্রতিদিন কয়টি ডিম খাওয়া ভালো সেটি নির্ভর করে আপনার কাজের ধরন ও শরীরের প্রয়োজনের ওপর। সাধারণভাবে একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য দিনে ১-২টি ডিম খাওয়া একদম নিরাপদ ও উপকারী স্বাস্থ্যর জন্য। প্রতিদিন ১টি ডিম যথেষ্ট, এতে শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যায়। আর যারা নিয়মিত ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করেন তাদের জন্য দিনে ১-২টি ডিম খাওয়া উপকারী, কারণ এতে পেশি গঠনে সহায়তা করে

এ ছাড়া আপনি যদি জিম করেন কিংবা এস্টা কোনো প্রোটিন শরীরে পেয়ে চান। সেক্ষেত্রে আপনার জন্য প্রতিদিন ৩-৪টি ডিম খাওয়া ভালো, বিশেষ করে কুসুম বাদ দিয়ে শুধু সাদা অংশ খাওয়া নিরাপদ।তবে সবসময় মনে রাখতে হবে, ডিম যতই উপকারী হোক, অতিরিক্ত খেলে কোলেস্টেরল বেড়ে যেতে পারে। তাই পরিমিত পরিমাণে নিয়মিত ডিম খাওয়াই সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস।

একটি সিদ্ধ ডিমে কত গ্রাম প্রোটিন থাকেঃ

একটি মাঝারি আকারের সিদ্ধ ডিমে সাধারণত ৬ থেকে ৭ গ্রাম প্রোটিন থাকে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রোটিন থাকে ডিমের সাদা অংশে থাকে প্রায় ৩.৫ থেকে ৪ গ্রাম, আর কুসুমে থাকে প্রায় ২ থেকে ২.৫ গ্রাম প্রোটিন।

ডিমের প্রোটিনকে “হাই কোয়ালিটি প্রোটিন” বলা হয়, কারণ এতে শরীরের প্রয়োজনীয় সব ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা পেশি গঠন, টিস্যু মেরামত ও শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন ১–২টি সিদ্ধ ডিম খেলে সহজেই শরীরের প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করা যায়।

খালি পেটে সিদ্ধ ডিম খেলে কি গ্যাস হয়ঃ

না, খালি পেটে সিদ্ধ ডিম খেলে গ্যাস হওয়ার সম্ভবনা তেমনটা থাকে না। ডিমে থাকা প্রোটিন ও সালফারজাতীয় বি৬ উপাদান কিছু মানুষের পেটে হজম হতে সময় নেয় কিন্তু এটি অ্যাসিডিটি কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু আপনি যদি ডিমকে ভাঁজে কিংবা পোচ করে খেতে চান সেক্ষত্রে পেটে হালকা অস্বস্তি দেখা দিতে পারে। তবে সবার ক্ষেত্রে এমনটা হয় না। যদি খালি পেটে ডিম খেয়ে সমস্যা অনুভব করেন।

তাহলে ডিমের সঙ্গে হালকা কিছু খাবার যেমন টোস্ট, ফল বা সবজি খাওয়া ভালো। এতে হজম সহজ হয় এবং গ্যাসের ঝুঁকিও কমে যায়। তাই বলা যায়, খালি পেটে সিদ্ধ ডিম খাওয়া ক্ষতিকর নয়, তবে যাদের গ্যাসের সমস্যা আছে, তাদের একটু সাবধানে খাওয়া উচিত।

লেখকের মক্তব্যঃ

আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন শরীর সঠিক রাখার জন্য সিদ্ধ ডিম খাওয়ার সঠিক সময় কখন হয়ে থাকে সারাদিনে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে সিদ্ধ ডিম খাওয়ার উপকারিতা কি।

প্রশ্ন  থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।

আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন............... www.stylishsm.com



আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url