ঢ়েড়স খেলে কি উপকার হয় - ঢ়েড়স খেলে কি এলার্জি হয়? বিস্তারিত জেনে নিন?
আজকে আমরা জানবো যে প্রোটিনের মাত্রা বাড়ানোর জন্য ঢ়েড়স খেলে কি উপকার হয় আমাদের শরীরে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে এই ঢ়েড়স খেলে কি এলার্জি হয় আমাদের শরীরে। আসুন জেনে নি?
ভূমিকাঃ
ঢ়েড়স একটা সবজির নাম,যেটি আমরা তরকারির মাধ্যমে খেয়ে থাকি। এই ঢ়েড়সে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। যেটি আমাদের শরীরে শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। এই ভিটামিন ঢ়েড়স খেলে আমাদের শরীরের হাড়ে হাড়ে ক্যাসিয়াম লাগে।
![]() |
ঢ়েড়স-খেলে-কি-উপকার-হয় |
তাই আসুন জেনে রাখি যে, শরীরের প্রোটিনের মাত্রা বাড়ানোর জন্য ঢ়েড়স খেলে কি উপকার হয় আমাদের শরীরের। ও তার সাথে সাথে এটাও জানুন যে ঢ়েড়স খেলে কি এলার্জি হয় আমাদের শরীরে। নিম্নে বিস্তারিত.........।
ঢ়েড়স খেলে কি উপকার হয়ঃ
ঢেঁড়স একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি, যা খেলে শরীরের নানা উপকার হয়। ঢেঁড়সে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফলেট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এবং সহজেই হজম হয়ে যায়। বিশেষ করে ঢেঁড়স পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে সক্ষম।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন ঢেঁড়স খেলে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। ঢ়েড়স খেলে আমাদের শরীরের লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদন হ্রাস পায়। ফলে রক্তের ঘাটতি থাকে না শরীরে। ঢ়েড়স খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। ফলে রক্তশূন্যতা দেখা যায় না।
ঢ়েড়স খেলে কি এলার্জি হয়ঃ
ডাক্তারেরা জানিয়েছেন যে, ঢেঁড়স খাওয়া নিরাপদ এবং বেশিরভাগ মানুষের জন্য কোনো সমস্যা সৃষ্টি করে না। তবে কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে ঢ়েড়স খেলে অ্যালার্জি প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। ঢেঁড়সে থাকা প্রাকৃতিক আঠালো আঁশ থাকে। সেটি মানুষের দেহে অ্যালার্জির কারণ ঘটাতে পারে।
ঢ়েড়স খেলে এলার্জির লক্ষণ হিসেবে আপনার ত্বকে ঘা, চুলকানি, মুখ বা গলা ফোলা, পেট ব্যথা কিংবা শ্বাসকষ্ট রোগ আছে যাদের তারা এই রোগের সমখীন হতে পারেন। কিন্তু অনেক মানুষের মুখের কথা যে তারা ঢেঁড়স খেয়ে অনেক উপকার পেয়েছেন এবং এটি হজম পেট হজম করতে সক্ষম। ঢ়েড়স খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
ঢ়েড়স খাওয়ার অপকারিতাঃ
ঢ়েড়স খেলে কি উপকার হয় সেয়ি আমরা জেনেছি, এবার জানুন যে এর কিছু অপকারিতা। আমরা সবাই জানি ঢেঁড়স একটি সবজি। যেটি আমরা খেয়ে থাকি। ঢেঁড়সে প্রচুর পরিমাণে আঁশ (ফাইবার) থাকে, যা হজমে সহায়ক হলেও বেশি পরিমাণে খেলে এটি পেটের ও শরীরের ক্ষতি করতে পারে।
ঢেঁড়সে প্রাকৃতিকভাবে অক্সালেট উপাদান থাকে, যা বেশী খেয়ে ঢ়েরসের আঁশ শরীরে জমলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই কিডনির সমস্যা আছে এমন ব্যক্তিদের ঢেঁড়স খাওয়া থেকে দূরে থাকা উত্তম। আমরা যদি কখনো এই ঢ়েড়স বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলি, তাহলে দেখবেন যে আমাদের শরীরে রক্ত ঘন হয়ে যাবে, ত্বকে ক্ষতি হতে পারে,পেটে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাই আমরা ঢ়েড়স খাওয়ার সময় মনে রাখবো যে আমাদের শরীরের ও ডাক্রার যতটুকু বলেছে শতটুকু খাওয়ার চেষ্টা করবেন। যাতে আমাদের শরীরে কোনো ধরনের ক্ষতি না হয়।
ঢ়েড়স খেলে কি গ্যাস হয়ঃ
হ্যাঁ, কিছু ক্ষেত্রে ঢেঁড়স খেলে আমাদের পেটে গ্যাস হতে পারে। ঢেঁড়সে উচ্চ মাত্রায় আঁশ (ফাইবার) ও প্রাকৃতিক আঠালো পদার্থ থাকে। যেটির কারণে আমাদের শরীরে পেট ব্যাথা, গ্যাস তৈরি, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যদি ঢেঁড়স একসাথে বেশি পরিমাণে খাওয়া হয় আর পানি পান ভাল ভাবে না করেন। তাহলে পেট ফাঁপা, অস্বস্তি ও অতিরিক্ত গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার কিছু মানুষের হজম প্রক্রিয়া ঢেঁড়সের মধ্যে যে নির্দিষ্ট শর্করা থাকে তা সহজে ভেঙে ফেলতে পারে না। ফলে পেটের অন্ত্রে গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।
ঢ়েড়স খেলে কি উপকার হয় আপনি যদি ঢেঁড়স খাওয়ার ক্ষেত্রে পরিমিতি ও সজদিভাবে রান্নার পদ্ধতি অনুসরণ করে ঢ়েড়স খেলে গ্যাসের সমস্যা এড়ানো যায়।
ঢ়েড়স খাওয়ার নিয়মঃ
ঢেঁড়স খাওয়ার সঠিক নিয়ম হলো যতটুকু আপনার প্রয়োজন এবং স্বাস্থ্যকর উপায়ে ভাল ববে ততটুকু রান্না করবেন। ঢেঁড়স খাওয়ার আগে অবশ্যই ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে, কারণ এর গায়ে মাটির কণা বা রাসায়নিক পদার্থ থাকতে পারে। সাধারণত ঢেঁড়সকে ভাপে সিদ্ধ করে, ভর্তা, তরকারি,ভাজি, হালকা ভাজা করে খাওয়া সবচেয়ে ভালো, যাতে এর পুষ্টি উপাদান বজায় থাকে।
বিশষজ্ঞরা বলেছেন যে কোনো মানুষ যদি প্রতিদিন খায়। তাহলে তার শরীরে রক্ত কণিকা উচ্চমান হবে। পেট সব সময় পরিষ্কার থাকবে। বিষাক্ত কোষ মেরে ফেলে। কারণ ঢ়েড়সে ভিটামিন যুক্ত সবকিছু পাওয়া যায়। কোনো ব্যাক্তি যদি তার শরীরে গ্যাস বা হজমের সমস্যা অনুভব করে থাকেন, তাদের উচিত ঢেঁড়স সেদ্ধ বা হালকা মশলা দিয়ে রান্না করে খাওয়া। অতিরিক্ত তেল, ঝাল বা ভাজাপোড়া ঢেঁড়স হজমে সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে।
তাই সপ্তাহে ২–৩ বার ঢেঁড়স খাদ্যতালিকায় রাখলে শরীর পাবে ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা হজমশক্তি বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
ঢ়েড়স খেলে কি ওজন বাড়েঃ
না, ঢ়েড়স খেলে ওজন বাড়ে না। ঢ়েড়স খেলে কি উপকার হয় সাধারণভাবে ঢেঁড়স খেলে ওজন বাড়ে না, বরং এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। ঢেঁড়স একটি লো-ক্যালোরি ও উচ্চ ফাইবারযুক্ত সবজি, যার ফলে আমাদের পেট দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে এবং এর মধ্য ফাইবার থাকায় শরীরের ওজন বাড়তে দেয় না।
ঢেঁড়সে থাকা এসিড যেকোনো খাবার সহজে হজম করতে সহায়তা করে, ঢ়েড়স রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং ফ্যাট জমতে প্রতিরোধ করে। ফলে ঘম ঘন খিদা লাগে না। ঢেঁড়সে প্রতি ১০০ গ্রামে আমিষ (১.৮ গ্রাম) ও ভিটামিন-সি (১৮ মিলিগ্রাম) খনিজ পদার্থ বিশেষ করে ক্যালশিয়াম (৯০ মিলিগ্রাম), লোহা (১ মিলিগ্রাম) ও আয়োডিন রয়েছে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
১০০ গ্রাম ঢ়েড়সে কত ক্যালরি থাকেঃ
১০০ গ্রাম কাঁচা ঢেঁড়সে প্রায় ৩০ থেকে ৩৩ ক্যালরি থাকে। ঢেঁড়স একটি কম ক্যালোরিযুক্ত পুষ্টিকর সবজি, যা ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং শরীরে সুস্থ্যতা রাখতে খুবই উপকারী। এতে প্রচুর ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ফলেট ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
ঢেঁড়সে থাকা কম ক্যালোরি ও উচ্চ আঁশ (ফাইবার) পেট ভরিয়ে রাখে, ঢ়েড়সের পুষ্টিগুন প্রতি ১০০ গ্রাম ঢেঁড়সে ৯০.১৭ গ্রাম ক্যালরি তার মধ্য জলীয় অংশ, ১.৪ গ্রাম প্রোটিনের খনিজ পদার্থ, ১.৭ গ্রাম ও আঁশ, ৩৩ কিলোক্যালরি খাদ্যের পরিমাণ ২.০ গ্রাম ভিটামিন যুক্ত পায়ে থাকে আমাদের শরীর।
লেখকের মক্তব্যঃ
আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন প্রোটিনের মাত্রা বাড়ানোর জন্য ঢ়েড়স খেলে কি উপকার হয় আমাদের শরীরে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে ঢ়েড়স খেলে কি এলার্জি হয় গায়ে।
প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেনে ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।
আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন..................... www.stylishsm.com
( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )
স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url