কম্পিউটারের প্রধান কাজ কি - ৩০টি কম্পিউটার ভাইরাসের নাম? বিস্তারিত জেনে নিন?
আজকে আমরা জানবো যে কম্পিউটারের দুনিয়ায় কম্পিউটারের প্রধান কাজ কি কি হয়ে থাকে আমাদের পিসি ডিভাইসের জন্য। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে ৩০টি কম্পিউটার ভাইরাসের নাম কি কি হয়,ও কিভাবে রোধ করা যায়। আসুন জানি?
ভূমিকাঃ
আমরা আমাদের প্রত্যাহিক জীবনে কম বেশি সবাই কম্পিউটার চালিয়ে থাকি এবং কি সবার বাড়িতে হয়তো আছে এই কম্পিউটার ডিভাইস। আমরা এই কম্পিউটার ডিভাইস নিজের কাছে পেয়ে আমাদের কাজের ঘাটতি ও সময় সব কমাতে সক্ষম হয়েছি।
![]() |
কম্পিউটারের-প্রধান-কাজ-কি |
তাই আসুন জেনে রাখি যে, আমরা আমাদের জীবনে কি কি কাজে এই কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকি ও কিভাবে ব্যবহার করতে পারবো। কম্পিউটার একটি হলেও এর কাজের কোনো শেষ নেই। আপনি যেভাবে চালাতে চান ও যে কাজে ব্যবহার করতের চান। কম্পিউটার তাই করতে বাধ্য। নিম্নে বিস্তারিত......।
কম্পিউটারের প্রধান কাজ কিঃ
কম্পিউটারের প্রধান কাজ হলো তথ্য গ্রহণ করা, ও প্রক্রিয়াকরণ করা, এবং প্রয়োজন অনুযায়ী ফলাফল প্রদর্শন ও সংরক্ষণ করা। কম্পিউটার মানুষের কাজকে সহজ করতে সক্ষম। কম্পিউটার কোনো তথ্যকে এটি ইনপুট নেয়, ও প্রসেস করে আউটপুট দেয়। উদাহরণস্বরূপ, আপনি কীবোর্ড দিয়ে কোনো সংখ্যা টাইপ করলে (ইনপুট), কম্পিউটার তা গণনা করে (প্রসেসিং) এবং মনিটরে ফলাফল দেখায় (আউটপুট)। আর এইগুলো কম্পিউটার বুঝতে পারে তাদের সফটওয়্যারের বিট থাকে।
আরো পড়ুনঃ পিসি ডিভাইস কি কি কাজ করে থাকে ও কিভাবে কম্পিউটার অপেরেট করে জানুন?
যেটি আমাদের লেখাকে কনভ্যাট করে দেয়। এছাড়াও কম্পিউটার দিয়ে লেখালেখি, অঙ্ক কষা, ইমেইল পাঠানো, ছবি-ভিডিও সম্পাদনা, ইন্টারনেট ব্যবহারসহ আরও অনেক কাজ করা যায়। কম্পিউটার মানুষের চিন্তাশক্তিকে যান্ত্রিকভাবে কাজে লাগিয়ে সময় বাঁচায় এবং কাজকে করে তোলে আরও নির্ভুল ও দ্রুত। তাই কম্পিউটার আজকের দিনে অফিস, শিক্ষা, গবেষণা থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে অতি প্রয়োজনীয় একটি ডিভাইস।
৩০টি কম্পিউটার ভাইরাসের নামঃ
কম্পিউটারের প্রধান কাজ কি ও এর ডিভাইস কিভাবে কাজ করে সেটি আমরা জেনেছি, এবার জানবো যে এই যে আমরা কম্পিউটার চালাচ্ছি এর কোনো কি ক্ষতিকারক বা কোনো ধরনের ভাইরাস আছে। তাহলে উত্তর হবে হ্যাঁ। এই কম্পিউটার ডিভাইসের ভাইরাস থাকে। তাই জেনে নিন কিছু ভাইরাসের নাম। যাতে আপনি নিজে ও কপম্পিউটারকে সর্তক রাখতে পারেন।
- কনফিকার (Conficker)
- ওয়ানাক্রাই (WannaCry)
- আই লাভ ইউ (I LOVE YOU)
- মেলিসা (Melissa)
- স্ল্যামার (Slammer)
- ব্লাস্টার (Blaster)
- সোবিগ (Sobig)
- জিউস (Zeus)
- ক্রিপটোলকার (CryptoLocker)
- মাইডুম (Mydoom)
- নেমদা (Nimda)
- কোড রেড (Code Red)
- স্টাক্সনেট (Stuxnet)
- চের্নোবিল (Chernobyl)
- ট্রোজান হর্স (Trojan Horse)
- র্যানসমওয়্যার (Ransomware)
- বুট সেক্টর ভাইরাস (Boot Sector Virus)
- ওয়েলচিয়া (Welchia)
- মাইর (Mirai)
- ম্যাক্রো ভাইরাস (Macro Virus)
- ফাইল ইনফেক্টর ভাইরাস (File Infector Virus)
- র্যাবিট ভাইরাস (Rabbit Virus)
- স্যালিটি (Sality)
- হেমোরাইজ (Hemorrhage)
- কিলাব (Kilabot)
- পলিমরফিক ভাইরাস (Polymorphic Virus)
- কায়োজ (CIH Virus)
- ওইউএসএফ (Wusv Virus)
- রুকিট (Rootkit)
- পার্টিশন সেক্টর ভাইরাস।
- প্রোগ্রাম ভাইরাস।
- ফাইল ভাইরাস।
- ওভার রাইটিং ভাইরাস।
- জেনারাল পারপাস ভাইরাস।
- কমান্ড পারপাস ভাইরাস।
- পলিমরফিক ভাইরাস
কম্পিউটার ভাইরাস থেকে বাঁচতে সবসময় আপডেটেড অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করুন এবং অজানা লিঙ্ক বা ফাইল খুলার আগে অবশ্যই চেক করবেন।
আরো পড়ুনঃ কম্পিউটার কিবোর্ডের শর্টকাট গুলো বিস্তারিত ভাবে দেখে নিন কাজে দেবে?
কম্পিউটার ভাইরাস কি ধরনের সফটওয়্যারঃ
কম্পিউটারের প্রধান কাজ হলো মানুষকে সঠিক তথ্য দেওয়া। কম্পিউটার ভাইরাস একটি দ্রষ্টব্য (Malicious) বা ক্ষতিকর সফটওয়্যার, যাকে সংক্ষেপে ম্যালওয়্যার (Malware) বলা হয়। এটি এমন একটি প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার যা নিজে নিজে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং কম্পিউটারে ক্ষতি করতে পারে।
ভাইরাস নিজে নিজে কম্পিউটারে প্রবেশ করতে পারে ও বিভিন্ন ধরনের ফাইল স্ক্যান করতে পারে।কম্পিউটারের ফাইল, ডেটা বা সিস্টেমকে নষ্ট করে তার কম্পিউটারকে স্লো করে দেয় ও অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার চালু করে দিতে পারে। কম্পিউটার ভাইরাস স্বয়ংক্রিয়ভাবে সক্রিয় হয় এবং অনেক সময় ব্যবহারকারীর অজান্তেই চালু হয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ ট্রেডিং ডেমো একাউন্ট কিভাবে খুলে আপনি ট্রেডিং শুরু করবেন তার ধরণা নিন?
কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের ইমেইল, ইউএসবি ড্রাইভ, ইন্টারনেট বা ইনফেকটেড সফটওয়্যারের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ভাইরাস একটি ক্ষতিকর ও স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার প্রোগ্রাম, যার প্রধান উদ্দেশ্য হলো সিস্টেমে সমস্যা তৈরি করা ও তথ্য নষ্ট করা।
কম্পিউটার ভাইরাসের নামকরণ কে করেনঃ
ক্মপিউটারের প্রধান কাজ হলো কম্পিউটার সব ধরনের কাজ করতে পারে ও মানুষের কাজকে সহজ করতে পারে। তাই মানুষ কম্পিউটার চালিয়ে থাকে। এর যেমন কাজ করার ক্ষমতা অনেক বেশি তেমনি এর ক্ষতির দিকও রয়েছে যেমন ভাইরাস। কম্পিউটার ভাইরাস সাধারণত বিশেষ প্রখ্যাত গবেষক ফ্রেড কোহেন তৈরি করছেন। ভাইরাস এমন একটি জিনিস যেটি কম্পিউটারে একবার প্রবেশ করলে কম্পিউটার ও এর সিস্টামের ১২টা বাজিয়ে দেয়।
এই ভাইরাস আপনার কম্পিউটারে যেকোনো ভাবে প্রবেশ করতে পারে। হোক একটি এসএমএস, ই-মেইম, ফাইল, সফটওয়্যার, কিংবা কোনো গেমের মাধ্যমে। এই ভাইরাস গুলো সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান বা অ্যান্টিভাইরাস কোম্পানিগুলো বেশী ছড়িয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে আপনি অনলাইনে শেয়ার কেনা-বেচা করবেন সে সমন্ধে জ্ঞান নিয়ে নিন?
যেমন ধরা যায় WannaCry নামটি এসেছে এই ভাইরাসের র্যানসমওয়্যার প্রকৃতির কারণে, এই ভাইরাস কপম্পিটারে একবার প্রবেশ করলে ফাইল লক করে কাঁদিয়ে তোলে ব্যবহারকারীকে।
কম্পিউটার ভাইরাস কিভাবে কাজ করেঃ
কম্পিউটার ভাইরাস একটি ক্ষতিকর প্রোগ্রাম, যা নিজে নিজে কম্পিউটারে ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং নানাভাবে ক্ষতি করতে পারে। অনেক ভাইরাস মানুষ নিজে থেকে তৈরি করে থাকে বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম, ফাইল, ডকোমেন্ট ও হার্ডডিস্কের ভাইরাস শেষ করার জন্য। এই ভাইরাস কম্পিউটারের অন্যান্য ফাইলেও ছড়িয়ে পড়ে, ফাইল নষ্ট করে দেয়, তথ্য চুরি করে, সিস্টেম স্লো করে দেয়, কিংবা আপ্নার কম্পিউটার হ্যাক করার সুযোগ করে দেয়।
আবার অনেক ভাইরাস অনেক যারা পিসিতে প্রবেশ করে কিন্তু কোনো ধরনের ক্ষতি না করলেও বোঝা যায় লেখা, ভিডিও, বা কোন ধরনের ডকোমেন্ট দ্বারা যে এই ভাইরাস আমাদের কম্পিউটারে আছে। কিছু ভাইরাস আবার এমনভাবে তৈরি হয়, যেন ব্যবহারকারী বুঝতেই না পারে—তার কম্পিউটার ভাইরাসে আক্রান্ত। তাই নিজের কম্পিউটারের প্রতি সব সময় সর্তক থাকবেন।
কম্পিউটার ভাইরাস কি কি ক্ষতি করেঃ
কম্পিউটারের প্রধান কাজ হলো একটি মানুষকে নতুন ভাবে গড়ে তোলা। কম্পিউটার ভাইরাস একটি ক্ষতিকর প্রোগ্রাম, যা কম্পিউটারে প্রবেশ করে নানাভাবে ক্ষতি করতে পারে। ভাইরাসের প্রধান ক্ষতি হলো এটি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল নষ্ট করতে পারে, সিস্টেম স্লো করে দেয়, অপারেটিং সিস্টেম নষ্ট করে দিতে পারে এবং ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য যেমনঃ পাসওয়ার্ড, ব্যাংক তথ্য ইত্যাদি চুরি করে নিতে পারে।
আরো পড়ুনঃ কম্পিউটার ব্যবহার করে আপনি কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করবেন তা জানুন?
এই ভাইরাস মানুষ দ্বারা সৃষ্টি করা হয়ে থাকে যা অনেক সময় ভাইরাসের কারণে কম্পিউটার হঠাৎ রিস্টার্ট হয়ে যাজায়। অযথা পপ-আপ ভিডিও কিংবা বিজ্ঞাপন সামনে চলে আসে বা সফটওয়্যার চালু হতে সমস্যা হয়। ভাইরাস কম্পিউটারে থাকলে কম্পিউটারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কম্পিউটার নষ্টর দিকে ছুটে। তাই আপনার পিসিতে কোনো ধরনের ভাইরাস যদি থাকে। তাহলে সেটি তাড়াতাড়ি ঠিক করার চেষ্টা করবেন।
কম্পিউটার ভাইরাস প্রতিরোধের উপায়ঃ
কম্পিউটার ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে হলে কিছু সতর্কতা ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। প্রথমত, আপডেটেড অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা উচিত, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভাইরাস স্ক্যান ও রিমুভ করতে পারে। দ্বিতীয়ত, অজানা ওয়েবসাইট, সন্দেহজনক ইমেইল লিংক বা ফাইল ওপেন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
- প্রয়োজনীয় অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা
প্রয়োজনীয় কম্পিউটার অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করলে ম্যালওয়্যার আক্রমণ বন্ধ করতে এবং কম্পিউটারকে ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷ এই অ্যান্টিভাইরাস প্রতিদিন কম্পিউটার স্ক্যান করে কম্পিউটার ফ্রি রাখার চেষ্টা করে।
আরো পড়ুনঃ ট্রেডিং মডে কিভাবে আপনি স্টক মার্কেট এনালাইসিস করবেন তা জেনে নিন?
- পপ-আপ অ্যাডে ক্লিক না করা
অযথা কোনো ধরনের পপ-আপ বিজ্ঞাপনগুলোতে কম্পিউটার ভাইরাস বেশি পরিমাণে স্ক্যান করে। তাই পপ-আপ অ্যাডে ক্লিক করবেন না, যার কারণে এটি কম্পিউটারে ভাইরাস ডাউনলোড হয়ে যেতে পারে।
- ইমেইল স্ক্যান করা
কম্পিউটার ভাইরাস থেকে আপনার ডিভাইসকে রক্ষা করার একটি জনপ্রিয় উপায় হল কোনো ধরনের ইমেইলে ক্লিক না করা। আর যদি ক্লিক করে ফেলেন তাহলে এই অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারের মাধ্যমে ইমেইল স্ক্যান করা যায়। সেখান থেকে আপনি দেখতে পারবেন।
- ডাউনলোড করা ফাইল স্ক্যান
আমরা কোনো না কোনো সময় বন্ধুদের কাছে ফাইল-শেয়ারিং প্রোগ্রাম, করে থাকি। যা অপরিচিত সাইট থেকে অ্যাপ্লিকেশন, গেম বা সফ্টওয়্যার ডাউনলোড করে শেয়ার করে থাকি। সেগুলো ভাইরাস থাকার সম্ভবনা বেশি থাকে। তাই এই ধরনের কাজ করা থেকে নিজেকে এড়িয়ে চলবেন।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে আপনি ব্যাকলিংক নিবেন ও ব্যাকলিংকের কাজ কি জেনে নিন?
- অপারেটিং সিস্টেম সব সময় আপডেট রাখা
সর্বদা আপনার কম্পিউটারে অপারেটিং সিস্টেম আপডেট চালু রাখুন এবং শেষ সংস্করণ (যেমন, Windows 7 বা Windows XP) ব্যবহার করা বন্ধ করুন। এই গুলো অনেক পুরানো সফটওয়্যার।
- পাইরেটেড সফ্টওয়্যার ব্যবহার করবেন না
বিনামূলে পাওয়া সফ্টওয়্যার অনেক লোভ দেয় কিন্তু আপনি কখনো এই ধরনের দন্দতে পরবেন না। তাই প্রয়োজনে আপনি্ন অফিসিয়াল সোর্স থেকে সফটওয়্যার ডাউনলোড করুন আর হ্যাঁ পাইরেটেড এবং শেয়ার করা সফটওয়্যার ব্যবহার করা বন্ধ করুন।
লেখকের মক্তব্যঃ
আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন কম্পিউটারের দুনিয়ায় কম্পিউটারের প্রধান কাজ কি কি হয়ে থাকে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে ৩০টি কম্পিউটার ভাইরাসের নাম কি কি।
প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।
আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন............... www.stylishsm.com
( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )
স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url