পিসি ডিভাইস এর কাজ কি - কম্পিউটার ডিভাইস কত প্রকার? বিস্তারিত জেনে নিন?

আজকে আমরা জানবো যে কম্পিউটারের দুনিয়ায় পিসি ডিভাইস এর কাজ কি ও কিভাবে এটি ব্যবহার করতে হয়। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে কম্পিউটার ডিভাইস কত প্রকার ও কি কি? যেটি দ্বারা কম্পিউটার অপেরেটর করা হয়। আসুন জানি?

ভূমিকাঃ

আজকের দিনে সব ছেলে মেয়েদের কাছে পিসি থাকে। কেননা আজকের দিন দুনিয়া সব কিছু চলে গেছে অনলাইনে। আর পিসি দ্বারা সবাই সবার নিজের স্কিল বাড়াতে চাই। কেউ কাজ করার জন্য পিসি বিল্ড করে। পিসি আজকের দিনে একটি কমন বিষয় হয়ে গেছে।

পিসি-ডিভাইস-এর-কাজ-কি
পিসি-ডিভাইস-এর-কাজ-কি   

তাই আসুন জেনে রাখি যে পিসির প্রতি নিজের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য পিসি ডিভাইস এর কাজ কি ও কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। ও তার সাথে সাথে এটাও জানুন যে কম্পিউটার ডিভাইস কত প্রকার ও কি কি। নিম্নে বিস্তারিত.........?

পিসি ডিভাইস এর কাজ কিঃ

পিসি ডিভাইস এর কাজ কি সেটি আমাদের জানা অবশ্যই জরুরী।  পিসি বা কম্পিউটার (PC) হলো একটি বহুমুখী ডিভাইস, যেটি একটি আরেকটর সাথে ক্যানেক্ট করা থাকে। যার প্রধান কাজ হলো তথ্য গ্রহণ, প্রক্রিয়াকরণ, সংরক্ষণ এবং ফলাফল প্রদর্শন দেওয়া। কম্পিউটার দ্বারা অফিস, শিক্ষা, ব্যবসা, বিনোদন ও গেমিংসহ নানা কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পিসির মাধ্যমে লেখা তৈরি করা, ইমেইল পাঠানো, ইন্টারনেট ব্যবহার, ভিডিও দেখা, প্রোগ্রামিং, ডিজাইনিং, ডেটা বিশ্লেষণসহ অসংখ্য কাজ করা যেতে পারে কম্পিউটারে।

এতে থাকে ইনপুট ডিভাইস (যেমন: কিবোর্ড, মাউস), আউটপুট ডিভাইস  মনিটর, প্রিন্টার এবং প্রসেসিং ইউনিট (CPU), যা মিলে একটি সম্পূর্ণ কম্পিউটার প্রোগ্রাম সিস্টেম গঠন করে। পিসি এমন একটি ডিভাইস যা আমাদের দৈনন্দিন কাজকে করে আরও সহজ, দ্রুত করতে সক্ষম হয়েছে।

কম্পিউটার ডিভাইস কত প্রকারঃ

পিসি ডিভাইস এর কাজ কি সেটি দ্বারা আপনি বুঝতে পারবেন যে কম্পিউটার ডিভাইস কত প্রকার ও কিভাবে কাজ করে। জেনে নিন? কম্পিউটার ডিভাইস মূলত তাদের কাজের ধরন অনুযায়ী চার প্রকারে ভাগ করা হয়। আসুন জেনে নি এই চারটি ডিভাইসের কাজ কি?

  1. ইনপুট ডিভাইসঃ কম্পিটাররের কাজ করার জন্য ও যেসব ডিভাইস দ্বারা কম্পিউটার ইনপুট করে রেডি করা ও তথ্য বা ডেটা পাঠানো হয়, তাকে ইনপুট ডিভাইস বলে। যেমনঃ কিবোর্ড, মাউস, স্ক্যানার, মাইক্রোফোন।
  2.  স্টোরেজ ডিভাইসঃ একটি কম্পিউটারে যখন ইনপুট রান করা হয়। তখন সেগুলো ডিভাইস কাজ করা শুরু করে। আমরা যখন আমাদের নিজের কিছু প্রাইভেট ডাটা সেখানে রাখতে চায়। তখন এগুলোর মাধ্যমে কম্পিউটার থেকে প্রক্রিয়াজাত তথ্য ব্যবহারকারীর কাছে পৌঁছে। যেমনঃ টেক্সট, ছবি, অডিও, ভিডিও, মভি, অনলাইন কাজ, ডিজাইন বা অন্যান্য ফরম্যাটে আউটপুট প্রদান করে থাকে।
  3.  প্রসেসিং ডিভাইসঃ প্রত্যেকটি কম্পিউটার ইনপুট ডিভাইস কে ইন করার পরে সেটিকে প্রসেসিং করে আউটপুট ডিভাইসের মাধ্যমে ইউজারকে ফলাফল দিয়ে থাকে। প্রসেসিং করার জন্য কম্পিউটারের মধ্যে যে সকল প্রসেসিং ডিভাইসগুলি কাজ করে সেগুলোকে প্রসেসিং ডিভাইস বলা হয়।
  4.  আউটপুট ডিভাইসঃ যারা কম্পিউটার ব্যবহার করেন তারা যে সকল ডিভাইসের মাধ্যমে কম্পিউটারে আউটপুট সেট করে থাকে সেই সকল ডিভাইসকে আউটপুট ডিভাইস বলা হয়। আউটপুট ডিভাইসের উদাহরণ হল প্রিন্টার, মনিটর ইত্যাদি।

এই চারটি প্রধান বিভাগ ছাড়াও আরও কিছু ডিভাইস আছে যেগুলো স্টোরেজ (যেমন হার্ডডিস্ক, SSD), প্রসেসিং বা কমিউনিকেশন কাজে ব্যবহৃত হয়।

আউটপুট ডিভাইস কিঃ

পিসি ডিভাইস এর কাজ কি সেটির উপরে নির্ভর করে। আউটপুট ডিভাইস হলো সেই সব কম্পিউটার ডিভাইস, যেগুলোর মাধ্যমে কম্পিউটার থেকে আমরা যেকোনো কিছু ডিভাইস দ্বারা দৃশ্যমান, শ্রব্য বা মুদ্রিত আকারে ফলাফল পায়। কম্পিউটার হিউম্যান ভাষা বলঝে না তাই আমরা যখন কম্পিউটারে কাজ করা বা লেখালেখি করি। তখন সেটি কম্পিউটার এক একটি বিট আকারে ডিভাইসে পৌঁচ্ছায়। সহজভাবে বললে, আমরা কম্পিউটারে যা করি বা দেখি।

তার ফলাফলটা যে মাধ্যমে পাই সেটাই আউটপুট ডিভাইস। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, মনিটর একটি আউটপুট ডিভাইস, যা স্ক্রিনে ছবি, লেখা বা ভিডিও দেখায়। প্রিন্টার আরেকটি আউটপুট ডিভাইস, যেটি কম্পিউটারের ডেটাকে কাগজে ছাপায়। স্পিকার কম্পিউটারের অডিও আউটপুট দেয়। এই ডিভাইসগুলোর মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি কম্পিউটার কী কাজ করেছে এবং কী ফলাফল দিয়েছে।

ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইসের মধ্য পার্থক্য কিঃ

কম্পিটার ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস ছাড়া অচল। ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইস একে অপরের সম্পূর্ণ বিপরীত কাজ করে। ইনপুট ডিভাইস হলো তথ্য কম্পিউটারে প্রবেশ করায় যেন ডিভাইস যেগুলোর মাধ্যমে ব্যবহারকারী কম্পিউটারে তথ্য বা নির্দেশ ধরে রাখার ও তথ্য পাঠানোর ক্ষমতা রাখে। যেমন — কিবোর্ড, মাউস, স্ক্যানার।

অন্যদিকে, আউটপুট ডিভাইস হলো এমন ডিভাইস যেগুলোর মাধ্যমে কম্পিউটার ব্যবহারকারীর কাছে দৃশ্যমান করে তোলে ও তথ্য কম্পিউটার থেকে বের করে দেখায়। যেমনঃ মনিটর, প্রিন্টার, স্পিকার। এই দুটি ডিভাইস মিলে কম্পিউটারের সাথে মানুষের যোগাযোগের একটি পূর্ণাঙ্গ পদ্ধতি তৈরি করে।

হার্ড ডিস্ক এর কাজ কিঃ

পিসি ডিভাইসের কাজ কি ও হার্ড ডিস্ক এর কাজ কি জেনে নিন তথ্য সহকারে? হার্ড ডিস্ক (Hard Disk) বা হার্ড ড্রাইভ হলো কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্টোরেজ ডিভাইস হিসাবে কাজ করে কম্পিউটারে।  যার প্রধান কাজ হলো ডেটা স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করা। কম্পিউটারে যে অপারেটিং সিস্টেম, সফটওয়্যার, ডকুমেন্ট, ছবি, গান, ভিডিও কিংবা যেকোনো ধরনের ফাইল থাকুক না কেন সবই এই হার্ড ডিস্কে সংরক্ষিত করা থাকে। 

হার্ড-ডিস্ক-এর-কাজ-কি

কম্পিউটার বন্ধ হলেও হার্ড ডিস্কে থাকা তথ্য মুছে যায় না, তাই একে নন-ভলাটাইল মেমোরি বলা হয়। হার্ড ডিস্কের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এটি থেকে তথ্য খুব দ্রুত পড়া ও লেখা (read/write) করা যায়। ফলে কম্পিউটার চালু হতে, ফাইল খুলতে কিংবা সফটওয়্যার ব্যবহার করতে সময় কম লাগে।

হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ কিঃ

হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ (Hard Disk Drive বা HDD) হলো কম্পিউটারের একটি ইলেক্ট্রোনিক মেকানিক্যাল ডিভাইস স্টোরেজ ডিভাইস। যার মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদ সময় ধরে ডেটা সংরক্ষণ করা যেতে পারে। এটি একটি চৌম্বকীয় ডিভাইস, যেখানে ঘূর্ণায়মান ডিস্ক বা প্লেটের ওপর ডেটা লেখা এবং পড়া খুব সহজ করে তোলে। আমরা যেসব ফাইল, সফটওয়্যার, ছবি, ভিডিও বা অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করি তা সবই হার্ড ডিস্কে জমা থাকে। কম্পিউটার বন্ধ থাকলেও এই তথ্য কখনই মুছবে না, তাই এটি স্থায়ী মেমোরি হিসেবে কাজ করে।

পিসি ডিভাইস এর কাজ কি এর সাথে যুক্ত হয়ে হার্ড ডিস্ক ড্রাইভ সাধারণত ডেস্কটপ, ল্যাপটপ এবং সার্ভার কম্পিউটারগুলোতে ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে অনেকেই এর বিকল্প হিসেবে দ্রুতগতি সম্পন্ন SSD (Solid State Drive) ব্যবহার করলেও HDD এখনো ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে আপনার যদি বেশি স্টোরেজের প্রয়োজন হলে তাহলে আপনি এই ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন।

সবচেয়ে ভাল হার্ড ডিস্ক কোনটিঃ

পিসি ডিভাইস এর কাজ কি ও আপনি কি করতে চান কম্পিউটার নিয়ে হার্ড ডিস্ক সেটির উপরে নির্ভর করবে। তবে বাজারে কিছু জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড রয়েছে, যারা উচ্চ মানের হার্ড ডিস্ক বিক্রি করে থকে। নিচে কিছু সেরা হার্ড ডিস্কের নাম ও তাদের বৈশিষ্ট্য দেওয়া হলোঃ

  • Western Digital (WD)

  1. WD Blue: আপনি যদি এমনি চালানোর জন্য বা অফিসের কাজের জন্য নিতে চান। তাহলে আপনার জন্য এটি ভাল হবে।ট
  2. WD Black: আপনি যদি উচ্চ মানের গেম খেলতে চান ও তার সাথে হাই-পারফরম্যান্স নিতে চান তাহলে আপনি এটি নিতে পারেন। 
  3. WD Red: NAS স্টোরেজের জন্য যথেষ্ঠ।

  •  Seagate

  1. Barracuda Series: ঘরোয়া ও অফিস ব্যবহারে জনপ্রিয়
  2. IronWolf: NAS এবং ২৪/৭ মেডিকালে বা রোগীর অপারেশনের জন্য বেস্ট।

  • Toshiba

  1. Toshiba X300 & P300 সিরিজ সফটওয়্যারের জন্য ব্যবহৃত।

  • HGST (Hitach

  1. সার্ভার এবং হেভি ডিউটি কাজে বেশি ব্যবহৃত হয় হয়ে থাকে।


  • আপনার জন্য কোনটা সেরা হবে ব্লগের নিচে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন?

  1.  সাধারণ কাজ/শিক্ষার্থীদের জন্য: WD Blue / Seagate Barracuda
  2. গেমিং বা ভারী সফটওয়্যারের জন্য: WD Black / Toshiba X300
  3. সার্ভার বা ২৪ ঘণ্টা চলমান সিস্টেমের জন্য: WD Red / Seagate IronWolf

আপনার যদি আরও দ্রুততা ও নিরব পারফরম্যান্স প্রয়োজন হয়। তাহলে আপনি SSD ব্যবহারের কথাও চিন্তা করতে পারেন।

লেখকের মক্তব্যঃ

আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন কম্পিউটারের দুনিয়ায় পিসি ডিভাইস এর কাজ কি ও কিভাবে কাজ করে থাকে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে কম্পিউটার ডিভাইস কত প্রকার ও কি কি?

প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।

আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন............... www.stylishsm.com



( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )









































এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url