কিবোর্ড এর শর্টকাট নিয়ম - কিবোর্ড এর কাজ কি? বিস্তারিত জেনে নিন?
আজকে আমরা জানবো যে কম্পিউটারের দুনিয়ায় কিবোর্ড এর শর্টকাট নিয়ম গুলো কি কি হয়ে থাকে। যেটি আমরা সহজে ব্যবহার করতে পারবো। ও তার সাথে সাথে এটাও জানুন যে এই কিবোর্ড এর কাজ কি ও এর ফ্যানশন কিভাবে কম্পিউটারে কাজ করে। আসুন জানি?
ভূমিকাঃ
আজকের দিনে প্রায় সকল মানুষ অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে চাই। কিন্তু অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনাকে সবার আগে কম্পিউটার, ল্যাপটপ কিংবা ফোনের উপর চাহিদা দিতে হবে। কেননা এর সাথে আপনি না জড়ালে আপনি কোনো কিছু শিখতে পারবেন না ও টাকা ইনকাম করতে পারবেন না।
![]() |
কিবোর্ড-এর-শর্টকাট-নিয়ম |
তাই আসুন জেনে রাখি যে, কম্পিউটার চালানোর ক্ষেত্রে কিবোর্ড এর শর্টকাট নিয়ম গুলো কি কি ভাবে ব্যবহার করতে পারবো আমরা। যেন আমাদের সব ধরনের কাজ সহজ হয়ে ওঠে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানুন যে কিবোর্ড এর কাজ কি যেটি দ্বারা আমাদের কম্পিউটার অপরেট হয়। নিম্নে বিস্তারিত.........।
কিবোর্ড এর শর্টকাট নিয়মঃ
কিবোর্ড এর শর্টকাট নিয়ম হলো কিছু নির্দিষ্ট বোতাম একসাথে চাপলে দ্রুত কাজ সম্পন্ন কর যায়। এই নিয়মগুলো কম্পিউটার চালাতে অনেক সময় বাঁচায় এবং কাজকে করে আরও সহজ ও গতিময় করে তোলে। প্রতিদিন কম্পিউটারে কাজ করার সময় এসব শর্টকাট জানা থাকলে মাউস না ধরেও অনেক কাজ মুহূর্তের মধ্য শেষ করা সম্ভব। তাই আসুন জেনে নি কিছু শর্টকাট নিয়ম?
- Ctrl + C – কপি
- Ctrl + B - লিখা বোল্ড
- Ctrl + X – কাট
- Ctrl + V – পেস্ট
- Ctrl + Z – আনডু ( মিছে যাওয়া লিখা আবার ফিরে আসবে )
- Ctrl + Y – রিডু
- Ctrl + A – সব সিলেক্ট
- Ctrl + S – সেভ
- Ctrl + P – প্রিন্ট
- Ctrl + N – নতুন ফাইল/ডকুমেন্ট
- Ctrl + O – ফাইল ওপেন
- Ctrl + T – নতুন ট্যাব
- Ctrl + W – ট্যাব বন্ধ
- Ctrl + Tab – পরবর্তী ট্যাব
- Ctrl + Shift + Tab – পূর্ববর্তী ট্যাব
- Ctrl + L – অ্যাড্রেস বারে কার্সর
- Ctrl + D – বুকমার্ক
- Ctrl + H – হিস্টোরি
- Ctrl + J – ডাউনলোডস
- Ctrl + F – খোঁজা
- Alt + Home – হোম পেজ
- Win + D – ডেস্কটপ দেখানো
- Win + E – ফাইল এক্সপ্লোরার
- Win + R – রান কমান্ড
- Win + L – স্ক্রিন লক
- Win + I – সেটিংস
- Win + A – অ্যাকশন সেন্টার
- Win + S – সার্চ
- Win + Tab – টাস্ক ভিউ
- Alt + Tab – অ্যাপ সুইচ
- Alt + F4 – অ্যাপ বন্ধ
- Ctrl + I – ইটালিক
- Ctrl + U – আন্ডারলাইন
- Ctrl + Shift + > – ফন্ট বড়
- Ctrl + Shift + < – ফন্ট ছোট
- Ctrl + R – ডানদিক এ লাইন
- Ctrl + L – বামদিক এ লাইন
- Ctrl + E – মাঝে লাইন
- Ctrl + J – জাস্টিফাই
- Ctrl + Shift + L – বুলেট লিস্ট
- F1 – হেল্প
- F2 – রিনেম
- F3 – সার্চ
- F4 – ঠিকানার ইতিহাস (ফাইল এক্সপ্লোরারে)
- Alt + F4 – অ্যাপ বন্ধ
- F5 – রিফ্রেশ
- F6 – অ্যাড্রেস বার
- F7 – স্পেল চেক (Word)
- F8 – উইন্ডোজ সেফ মোড
- F11 – ফুল স্ক্রিন
- Ctrl + Home – শুরুতে যাওয়া
- Ctrl + End – শেষে যাওয়া
- Ctrl + ↑ – আগের প্যারাগ্রাফ
- Ctrl + ↓ – পরের প্যারাগ্রাফ
- Ctrl + ← – আগের শব্দ
- Ctrl + → – পরের শব্দ
- Page Down – এক পৃষ্ঠা নিচে
- Home – লাইন শুরুর দিকে
- End – লাইন শেষের দিকে
- PrtSc – পুরো স্ক্রিন কপি
- Alt + PrtSc – একটিভ উইন্ডো কপি
- Win + Shift + S – কাস্টম স্ক্রিনশট (Snip & Sketch)
- Ctrl + Alt + Del – টাস্ক ম্যানেজার বা সিকিউরিটি
- Ctrl + Shift + Esc – সরাসরি টাস্ক ম্যানেজার
- Win + Ctrl + D – নতুন ভার্চুয়াল ডেস্কটপ
- Win + Ctrl + → / ← – ডেস্কটপ পরিবর্তন
- Win + Ctrl + F4 – ডেস্কটপ বন্ধ
- Alt + Enter – প্রপার্টি খোলা
- Shift + Delete – স্থায়ীভাবে ডিলিট
- Win + Mute/Vol+/Vol– – ভলিউম নিয়ন্ত্রণ
- Play/Pause – মিডিয়া চালানো
- Next/Prev Track – পরবর্তী / পূর্ববর্তী গান
- Ctrl + N – নতুন ফোল্ডার
- Ctrl + Shift + N – নতুন ফোল্ডার (Windows Explorer)
- Alt + ↑ – ফোল্ডার এক লেভেল ওপরে
- Ctrl + Shift + Esc – টাস্ক ম্যানেজার
- Shift + Right Click – অ্যাডভান্সড অপশন
- Ctrl + Shift + Drag File – শর্টকাট তৈরি
- Ctrl + R – রিপ্লাই
- Ctrl + Shift + R – রিপ্লাই টু অল
- Ctrl + F – ফরোয়ার্ড
- Ctrl + N – নিউ ইমেল
- Ctrl + Enter – ইমেল সেন্ড
- Ctrl + ` – ফর্মুলা ভিউ
- Ctrl + ; – আজকের তারিখ
- Ctrl + : – বর্তমান সময়
- F2 – সেল এডিট
- Ctrl + Shift + "+” – রো/কলাম ইনসার্ট
- Ctrl + “-” – রো/কলাম ডিলিট
- Ctrl + Shift + C – ফরম্যাট কপি
- Ctrl + Shift + V – ফরম্যাট পেস্ট
- Ctrl + K – লিংক ইনসার্ট
- Ctrl + Shift + > / < – ফন্ট সাইজ
- Ctrl + Q – প্যারাগ্রাফ ক্লিয়ার
- Ctrl + Esc – Start মেনু
- Alt + Esc – মিনিমাইজ
- Win + Spacebar – কীবোর্ড ভাষা পরিবর্তন
- Shift + F10 – রাইট ক্লিক বিকল্প
- Win + . (ডট) – ইমোজি প্যানেল
- Shift + Home - সব লিখা সিলেক্ট হয়ে যাবে।
এই শর্টকাটগুলো নিয়মিত চর্চা করলে আপনি অনেক দ্রুত ও দক্ষভাবে কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারবেন।
কিবোর্ড এর কাজ কিঃ
কিবোর্ড এর শর্টকাট নিয়ম এর ব্যবহার করে আমরা কম্পিউটারকে মিনিমাইজ করতে পারি। কিবোর্ড হলো কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট ডিভাইস, যার সাহায্যে আমরা কম্পিউটারে সংখ্যা ও নানা রকম নির্দেশ (কমান্ড) দিতে পারি কম্পিউটারকে। এটি টাইপরাইটারের মতো দেখতে এবং এতে বিভিন্ন বর্ণ, সংখ্যা, চিহ্ন ও বিশেষ ফাংশনের কী (key) থাকে।
কিবোর্ডের মাধ্যমে লেখালেখি, সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রণ, শর্টকাট ব্যবহার এবং বিভিন্ন ফাইল বা প্রোগ্রাম চালু করা যায়। যেমন, কিবোর্ড দিয়ে আমরা মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে লিখতে পারি, কাজ করতে পারি, ফাইল সেভ করতে পারি বা ইন্টারনেট সার্চ করতে পারি। সংক্ষেপে, কিবোর্ড ছাড়া কম্পিউটারে লেখালেখি বা কার্যকরভাবে কাজ করা প্রায় অসম্ভব।
কিবোর্ড এর বাটন কয়টিঃ
কিবোর্ড এর শর্টকাট নিয়ম সব কিবোর্ডে থাকে না। একটি সাধারণ কিবোর্ডে সাধারণত ১০১ থেকে ১০৫টি বাটন (key) থাকে, তবে এটি কিবোর্ডের ধরন ও মডেলের উপর নির্ভর করে। যেমন ডেস্কটপ কিবোর্ড, ল্যাপটপ কিবোর্ড বা গেমিং কিবোর্ডে বাটনের সংখ্যা কম বেশি হতে পারে। সেটি আপনার কিবোর্ডের উপরে নির্ভর করবে। কিবোর্ডের বাটনগুলো বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়।
যেমন অক্ষর (A-Z), সংখ্যা (0-9), ফাংশন কী (F1-F12), নেভিগেশন কী (Arrow, Home, End), কন্ট্রোল কী (Ctrl, Alt, Shift), এবং স্পেশাল কী (Enter, Spacebar, Backspace) ইত্যাদি। কিছু উন্নত কিবোর্ডে মিডিয়া কন্ট্রোল, লাইটিং বা শর্টকাট ফিচারসহ অতিরিক্ত কীও থাকে। তাই কিবোর্ডে বাটনের সংখ্যা নির্দিষ্ট হলেও সেটি ১০০টির বেশি হওয়াটাই সাধারণ। এখনকার দিনে সবাই নিজের মালামাল আপডেট করতে চাই।
কিবোর্ড কি ধরনের ডিভাইসঃ
কিবোর্ড এর শর্টকাট নিয়ম আপনার জানা থাকলে কিবোর্ড আপনার কাছে পানির মতো হয়ে যাবে। সর্বপ্রথম আপনাকে টাইপিং করা শিখতে হবে আসতে আসতে। যেটি আপনি লিখতে চান, সেটি আগে মুখে বলার চেষ্টা করবেন। তাহলে দেখাবেন আপনার টাইপিং ইস্পিরিট বেড়ে যাবে। আর কিবোর্ড একটি ইনপুট ডিভাইস, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী কম্পিউটারে তথ্য বা নির্দেশ প্রকাশ করে।
এটি কম্পিউটারের সাথে যুক্ত হয়ে ব্যবহারকারীর টাইপ করা লেখা, সংখ্যা, কমান্ড এবং শর্টকাটগুলো কম্পিউটারে বিট আকারে পাঠায়, যাতে কম্পিউটার সেই অনুযায়ী কাজ করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যখন কিবোর্ডে “A” চাপেন, তখন কম্পিউটার সেই বর্ণটি স্ক্রিনে দেখায়। কিবোর্ড ছাড়া কম্পিউটারে লেখালেখি, কমান্ড দেওয়া কিংবা বিভিন্ন অপারেশন সম্পাদন করা প্রায় অসম্ভব। তাই কিবোর্ডকে কম্পিউটারের প্রাণ বলা হয়।
Find এর শর্টকাট কিঃ
কম্পিউটার বা মোবাইলের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ও কিবোর্ড এর শর্টকাট নিয়ম থাকে। যেটি হয়তো সব মানুষের জানা থাকে না। যেমন — ব্রাউজার, ওয়ার্ড, এক্সেল, পিডিএফ রিডার ইত্যাদিতে কোনো নির্দিষ্ট শব্দ বা বাক্য খুঁজে পেতে Find অপশন ব্যবহার করা হয়। এর শর্টকাট কী হলো Ctrl + F।, Alt + F, F. , Ctrl + Alt + F. ইত্যাদি এই শর্টকাট চাপলে একটি ছোট সার্চ বক্স স্ক্রিনে আসে।
যেখানে আপনি যে শব্দ বা তথ্য খুঁজতে চান, তা টাইপ করলেই অটোমেটিকভাবে সেটি হাইলাইট হয়ে যাবে। এটি দ্রুত ডকুমেন্ট বা ওয়েবপেজের মধ্যে নির্দিষ্ট তথ্য খুঁজে পেতে খুবই কার্যকর।
কম্পিউটার কিবোর্ড যুক্তবর্ণ লেখার নিয়মঃ
কিবোর্ড এর শর্টকাট নিয়ম আপনার জানা থাকলে যুক্তবর্ণ লেখাটা আপনার কাছে কোনো বড় বিষয় হবে না। কম্পিউটার কিবোর্ডে বাংলা যুক্তবর্ণ লেখার নিয়ম জানাটা বাংলা টাইপিংয়ে দক্ষ হওয়ার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিম্নে দেখা নিন কিছু যুক্তবর্ণঃ
- ত্ত = t + t
- ট্ট = T + T
- ত্ত্ব = t + t +
- ক্ক = k + k
- ক্ট = k + T
- ঙ্ক = N + k
- ঙ্ক্ষ = N + k + Kh
- গ্ধ = g + dh
- গ্ন = g + n
- গ্ম = g + m
- গ্ন্য = g + n + y
- গ্ল = g + l
- ঘ্ন = gh + n
- ঘ্ন্য = gh + n + y
- চ্ছ = ch + ch
- চ্চ = c + c
- চ্চ = c + c
- চ্ছ্ব = ch + ch + w
- জ্ঞ = j + g
- ঞ্ঝ = Ñ + jh
- ঞ্ঞ = Ñ + g
- ট্ট্ব = T + T + w
- ড্ড = D + D
- ড্ব = D + w
- ণ্ঠ = N + Th
- ণ্ড = N + D
- ণ্ঢ = N + Dh
- ত্ত্ন = t + t + n
- ত্ত্ব্য = t + t + w + y
- দ্ঘ = d + gh
- দ্দ = d + d
- দ্ধ = ddh
- দ্ভ = d + bh
- দ্ম = d + m
- দ্ব = d + w
- দ্ব্য = d + w + y
- দ্য = d + y
- দ্র = d + r
- দ্ব্র = d + w + r
- ধ্ব = dh + w
- ধ্র = dh + r
- ন্ব = n + w
- ন্ত্র = n + t + r
- ন্ত্র্য = n + t + r + y
- ন্ত = n + t
- ন্তু = n + t + u
- ন্ত্য = n + t + y
- ন্দ = n + d
- ন্ধ = n + dh
- ন্দ্ব = n + d + w
- ন্ধ্য = n + dh + y
- ন্প = n + p
- ন্স = n + s
- ন্ভ = n + bh
- ন্ম = n + m
- ন্ন = n + n
- ন্ন্য = n + n + y
- প্ট = p + T
- প্প = p + p
- প্ত = p + t
- প্ন = p + n
- প্ল = p + l
- প্স = p + s
- ফ্ল = ph + l
- ব্ধ = b + dh
- ব্জ = b + j
- ব্ব = b + b
- ব্ম = b + m
- ব্ল = b + l
- ভ্র = bh + r
- ভ্ল = bh + l
- ম্ন = m + n
- ম্প = m + p
- ম্ব = m + b
- ম্ভ = m + bh
- ম্ম = m + m
- ম্ল = m + l
- য্য = y + y
- য্র = y + r
- র্প = r + p
- র্ব = r + b
- র্ভ = r + bh
- র্ম = r + m
- র্য = r + y
- র্র = r + r
- ল্ক = l + k
- ল্গ = l + g
- ল্ট = l + T
- ল্ড = l + D
- ল্প = l + p
- ল্ব = l + b
- ল্ম = l + m
- ল্ল = l + l
- ল্ল্য = l + l + y
- শ্ব = sh + w
- শ্র = sh + r
- স্ন = s + n
- স্ত = s + t
- স্থ = s + th
- স্ব = s + w
আপনি চাইলে বাংলা লেখার ক্ষেত্রে Avro Phonetic ব্যবহার করতে পারবেন। তাহলে ইংরেজি বানান টাইপ করলেই যুক্তবর্ণ তৈরি হবে।
লেখকের মক্তব্যঃ
আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন কম্পিউটারের দুনিয়ায় কিবোর্ড এর শর্টকাট নিয়ম গুল কি কি। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে কিবোর্ড এর কাজ কি ও কিভাবে কাজ করে।
প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।
আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন............... www.stylishsm.com
( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )
স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url