শিশু কত মাসে কথা বলে - বাচ্চা বোবা হওয়ার লক্ষণ? জেনে নিন বিস্তারিত?
আজকে আমরা জানবো যে শিশুদের জন্ম হওয়ার পরে তাদের পদক্ষেপ অনুযায়ী শিশু কত মাসে কথা বলে শুরু করে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে বাচ্চা বোবা হওয়ার লক্ষণ কি কি হয়। যেটি কারণে প্রায় অনেক বাচ্চা বোবা হয়ে থাকে। আসুন জানি?
ভূমিকাঃ
একটি বিবাহিত জীবনের পরে একটা স্বামী ও বৌ মিলে একটা সন্তানের চিন্তা করে থাকেন। জীবনে বিবাহিত জীবনে বাচ্চা না হলে জীবন অসহায় মনে হয়। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে শিশু জন্মের পরে অনেক সমস্যা দেখা যায়। যেটি সমাধান করা যায় আবার অনেক সময় সমধান করা যায় না।
![]() |
শিশু-কত-মাসে-কথা-বলে |
শিশু কত মাসে কথা বলেঃ
সাধারণত শিশু জন্মের পর থেকেই শব্দ চিনতে ও আওয়াজের প্রতি সাড়া দিতে শুরু করে। তবে স্পষ্টভাবে কথা বলা একটি ধীরে ধীরে গড়ে ওঠা প্রক্রিয়া। সাধারণত ৬ মাস বয়সে শিশু "বাবা", "মা" "কিংবা দাদার" মতো সহজ শব্দ উচ্চারণের চেষ্টা করে। ৯–১২ মাসের মধ্যে শিশু এক বা দুই শব্দ বলতে পারে এবং তার চারপাশের মানুষের কথার সাড়া দেয় এবং কি তাদের কথা গুলো নিজের মাথায় ক্যাচ করতে শুরু করে।
আরো পড়ুনঃ ছোট বাচ্চাদের কি কি খাওয়া উচিত ও কখন কি খাওয়ানো উচিত জেনে নিন?
প্রায় ১৮ মাসে শিশু ছোট ছোট শব্দ বলতে পারে এবং ২.৫ বছর বয়সে ছোট ছোট বাক্য গঠন শুরু করে। তবে প্রত্যেক শিশুর কথা বলার সময় একরকম নয়। কারও একটু আগে, কারও একটু দেরি হয়। যদি দেখা যায় যে শিশু ১৮ মাস পরও কোনো শব্দ উচ্চারণ করছে না বা সাড়া দিচ্ছে না, তবে শিশু বিশেষজ্ঞ বা স্পিচ থেরাপিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
অর্থাৎ, শিশুর কথা বলা শুরু হয় সাধারণত ৬ মাস থেকে ১ বছরের মধ্যে এবং ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ বাক্যে রূপ নেয় ২–৩ বছরে।
বাচ্চা বোবা হওয়ার লক্ষণঃ
শিশুর স্বাভাবিকভাবে কথা বলার ক্ষমতা বিকাশের একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা আছে। যদি সে সময়ের মধ্যে কথা বলা শুরু না করে বা শব্দ উচ্চারণে অস্বাভাবিক সমস্যা দেখা দেয়, তবে বোবা হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। সাধারণত ৬ মাস বয়সে শিশুর বিভিন্ন ধরনের শব্দ বা আওয়াজ করার কথা, আর ১ বছর বয়সের মধ্যে অন্তত ১–২টি সহজ শব্দ বলার চেষ্টা করা উচিত।
আরো পড়ুনঃ গর্ভবস্থায় মেয়েদের কিভাবে ঘুমানো উচিত ও কোন দিকে কাত হয়ে ঘুমাতে হয় জানুন?
যদি শিশু একদমই শব্দ না করে, মানুষের ডাকে সাড়া না দেয়, ঠোঁট নেড়ে কিছু বলার চেষ্টা না করে বা ২ বছরের পরও কোনো শব্দ উচ্চারণ না করে, তবে তা অস্বাভাবিক হতে পারে। এটি যেন না হয় সে ক্ষেত্রে আপনাকে প্রতিদিন বাচ্চার সাথে খেলাধুলা করতে হবে, মিষ্টি মিষ্টি কথা বলতে হবে। স্বরধ্বনি শিখতে হবে, আর খেয়াল রাখতে হবে যে শিশুরা কোন জিনিসটাতে বেশী খুশি হয়।
আপনাকে সে ধরনের কিছু করতে হবে কিংবা সে ধরনের কথা বলতে হবে। কেননা শিশুরা প্রথম শব্দ শিখে থাকে তাদের পরিবারের কাছ থেকে। বাচ্চা যতখন পর্যন্ত এই ধরনের কাজ গুলো না করছে। আপনাকে ততখন আপনাকে বাচ্চার সাথে বাচ্চা হয়ে থাকতে হবে। এটাই বাচ্চাকে বেড়ে তোলার ও শিক্ষা সংস্কার দেওয়ার সময়। আর ডাক্তারেরা প্রমাণ করেছেন যে একটা ছোট বাচ্চাকে ছোট থেকে যেভাবে আপনি গড়ে তুলবেন।
বাচ্চা সেদিকে নিজের পথ বাড়াবে। ছোট কালের শিক্ষা সারা জীবন থেকে যায় বাবা- মায়ের। তাই আপনাকে বাচ্চাদের এই গুলো শিখানো উচিত ও এই ধরনের কাজ করা উচিত। আবার অনেক সময় বোবা শিশুর শ্রবণ সমস্যাও থাকে তবে দ্রুত বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
শিশুর কথা বলার দোয়াঃ
শিশু কত মাসে কথা বলে তা আমরা আগেই জেনেছি। কিন্তু শিশু কথা বলার তেমন কোনো কিছু থাকে না। কিন্ত ইসলামে সন্তান যেনো সুন্দরভাবে কথা বলতে পারে, সুস্থ মস্তিষ্ক ও সঠিক বাকশক্তি পায় এজন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা উত্তম। কুরআন ও হাদিসে কিছু দোয়া রয়েছে, যা শিশুদের কথা বলা ও ভালোভাবে বড় হওয়ার জন্য পড়া হয় তাহলোঃ
- কুরআনের দোয়া
সূরা ত্বাহা (২০:২৭-২৮):
“رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِّن لِّسَانِي يَفْقَهُوا قَوْلِي”
উচ্চারণঃ “রব্বিশ্রাহ্ লি সাদরি, ওয়া ইয়াস্সির লি আমরি, ওয়াহ্লুল উকদাতাম্ মিল্ লিসানি, ইয়াফ্কাহু কাওলি।”
আরো পড়ুনঃ মুখে ঘা হলে আপনার কি কি করণীয় কাজ থাকে তা বিস্তারিত জেনে নিন?
অর্থঃ “হে আমার প্রভু! আমার বক্ষ প্রশস্ত করে দাও, আমার কাজ সহজ করে দাও, আমার জিহ্বার জট খুলে দাও, যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে।”
এই দোয়াটি নিয়মিত পড়ে শিশুর মাথায় ফুঁ দিলে বা পানিতে পড়ে তাকে খাওয়ালে উপকার পাওয়া যাবে (ইনশাআল্লাহ)।
বাচ্চাদের কথা না বলার কারণঃ
শিশু কত মাসে কথা বলে এবং কি অনেক সময় দেখা যায় যে অনেক সময় বাচ্চারা নির্দিষ্ট বয়সে কথা বলতে শুরু করে না, যা অভিভাবকদের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শিশু কথা না বলার পিছনে বিভিন্ন শারীরিক, মানসিক ও পরিবেশগত কারণ থাকতে পারে। আসুন জেনে নি?
- বাচ্চাদের কথা না বলার সাধারণ কারণগুলো হলোঃ
- শ্রবণ মাসঃ যদি শিশুর কানে আপনি ঠিকমতো কথা না বলেন তবে সে সঠিকভাবে কথা শিখতে পারে না শিশু।
- বিলম্বিত বাক বিকাশঃ কিছু শিশু স্বাভাবিকভাবে অন্যদের তুলনায় দেরিতে কথা বলতে শুরু করে। তার কারণ ডাক্তারেরে বলেছেন ইলেট্রনিক গ্যাজেটের ব্যবহার। যেটি দ্বারা শিশুর বিকাশের প্রভাব পড়ে।
- অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারঃ (ASD) অটিস্টিক শিশুদের সাধারণত কথাবার্তা ও যোগাযোগে সমস্যা দেখা দেয়। অটিজম হলে শিশুর বিকাশের প্রভাব পড়ে।
- মানসিক চাপ বা ভয়ঃ শিশু যদি সবসময় ভয়ের মধ্যে বড় হয়, তবে সে আত্মবিশ্বাস হারায় এবং কথা বলতে দেরি করে।
- অনুকরণ না পাওয়াঃ যদি আশেপাশে কেউ শিশুর সঙ্গে নিয়মিত কথা না বলে কিংবা না খেলে, তবে সে ভাষা শিখতে দেরি করে।
- মস্তিষ্কের বিকাশে সমস্যাঃ স্নায়বিক সমস্যা বা মস্তিষ্কের বিকাশজনিত জটিলতার কারণে শিশুর কথা বলা দেরি হতে পারে।
- জন্মগত সমস্যাঃ যেমন ঠোঁট বা জিহ্বায় কোনো শারীরিক ত্রুটি থাকলে শিশু ঠিকমতো শব্দ উচ্চারণ করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন।
- বংশগত প্রভাবঃ অনেক সময় পরিবারে অন্য কেউ দেরিতে কথা শিখলে শিশুদের মধ্যেও সেই প্রভাব দেখা দেয়। কেননা সে শিশুটা তারাই রক্ত হয়।
- অতিরিক্ত মোবাইল/টিভি ব্যবহারঃ বেশি সময় স্ক্রিনে কাটালে শিশু বাস্তব কথোপকথন থেকে দূরে থাকে, ফলে ভাষা বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।
- অতিরিক্ত আদরঃ কখনও বাবা-মা শিশুর চাহিদা কথার আগেই বুঝে পূরণ করে ফেলেন, ফলে শিশুর কথা বলার তাগিদ কমে যায়।
যদি শিশু ২ বছর বয়স পার হওয়ার পরও কোনো শব্দ না বলে, তবে একজন শিশু বিশেষজ্ঞ বা স্পিচ থেরাপিস্টের কাছে দেখানো জরুরি। পাশাপাশি শিশুর সঙ্গে বেশি করে কথা বলা, গল্প শোনানো ও খেলাধুলায় উৎসাহিত করাও খুব উপকারী।
শিশু দেরিতে হাটার কারণঃ
শিশু কত মাসে কথা বলে সেটি আমরা জেনে এবার গেছি শিশু দেরিতে হাঁটার কারণ কি। তাহলে দেখুন যে একটু শিশু সাধারণত ১০ মাস থেকে ১৮ মাস বয়সের মধ্যে হাঁটতে শুরু করে। তবে অনেক সময় দেখা যায়, কোনো শিশু এই সময়ের মধ্যে হাঁটা শুরু করে না বা দেরিতে হাঁটে। এটি অভিভাবকদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শিশুর দেরিতে হাঁটার পেছনে কয়েকটি শারীরিক ও মানসিক কারণ থাকতে পারে। শিশুর দেরিতে হাঁটার সাধারণ কারণগুলো জেনে নি?
- শারীরিক দুর্বলতাঃ শিশু যদি জন্ম থেকে দুর্বল হয় বা যথেষ্ট পুষ্টি না পায়, তবে তার পেশি ও হাড় মজবুত হয় না, ফলে হাঁটতে দেরি হয়।
- ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতিঃ হাড় ও পেশি শক্তিশালী না হলে শিশুর হাঁটতে সমস্যা করে।
- অল্প ওজনের শিশুঃ যেসব শিশু সময়ের আগে (Preterm Baby) জন্ম নেয় বা জন্মের সময় খুবই কম ওজন থাকে, এবং তাদের গায়ে পুষ্টি কম থাকে তারা সাধারণত হাঁটতে দেরি করে।
- স্নায়বিক সমস্যাঃ মস্তিষ্ক বা স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশে সমস্যা থাকলে শিশুর হাঁটার গতি স্বাভাবিক হয় না।
- জেনেটিক কারণঃ অনেক সময় পরিবারের অন্য কারও শিশুকালে দেরিতে হাঁটার ইতিহাস থাকলে পরবর্তী প্রজন্মেও তা দেখা যায়। এটি পূর্ব আমলের কথা।
- অতিরিক্ত মোটা শিশুঃ শরীরের ওজন বেশি হলে শিশু ভারসাম্য রাখতে না পেরে হাঁটতে দেরি করে।
- অসুস্থতাঃ যেমন দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসকষ্ট, রক্তশূন্যতা, অটিজম বা অন্যান্য শারীরিক অসুখ থাকলে হাঁটার বিকাশে বাধা আসে।
- ভয় বা মানসিক জড়তাঃ কিছু শিশু পড়ে যাওয়ার ভয়ে হাঁটার চেষ্টা করে না, ফলে তারা দেড়িতে হাঁটতে শুরু করে।।
যদি শিশু ১৮ মাস বয়স পার হওয়ার পরও না হাঁটে, তবে অবশ্যই একজন শিশু বিশেষজ্ঞ বা নিউরো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
৫ মাসের শিশুর বিকাশ কেমন হয়ঃ
একটা শিশু ১২-১৮ মাসের মধ্য হালকা করে ধিমা ধিমা কথা বলতে শুরু করে। কিন্ত শিশুর ৫ মাস বয়সে শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে অনেক পরিবর্তন দেখা যায়। এই সময়টি তার বেড়ে ওঠার এক বিশেষ ধাপ। সে ধীরে ধীরে চারপাশের পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিতে শেখে এবং নতুন নতুন দক্ষতা অর্জন করে।
- ৫ মাসের শিশুর শারীরিক বিকাশঃ
- শিশুটি পেট থেকে পিঠে বা পিঠ থেকে পেটে গড়াগড়ি দিতে শুরু করে।
- মাথা ও ঘাড় সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে।
- হাত দিয়ে জিনিসপত্র ধরার চেষ্টা করে এবং মুখে দেওয়ার চেষ্টা করে।
- ৫ মাসের বাচ্চারা মা" বাবা" ধিমা ধিমা ভাব বলতে শুরু করে।
- চোখ দিয়ে নড়াচড়া করা কোনো বস্তু ছুয়ার চেষ্টা করে।
- ধীরে ধীরে দাঁত ওঠার প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে (যদিও অনেকের ক্ষেত্রে পরে হয়)।
- নিরাপদ খেলনা দিন, যাতে সে হাত দিয়ে ধরতে পারে।
- পরিচিত মুখ চিনতে পারে এবং হাসি দিয়ে সাড়া দেয়।
- শব্দ শুনে উৎসুক হয় এবং উৎসের দিকে মাথা ঘোরায়।
- খেলার প্রতি আগ্রহ বাড়ে, বিশেষ করে শব্দযুক্ত খেলনা পছন্দ করে।
- নিজের হাত-পা লক্ষ্য করে খেলে এবং আঙুল মুখে দেয়।
- শিশুকে পর্যাপ্ত সময় কোলে নিন, কথা বলুন ও খেলুন।
- মা-বাবার কণ্ঠ চিনে হাসি বা খুশির ভাব প্রকাশ করে।
- অপরিচিত কাউকে দেখলে ভয় বা অস্বস্তি প্রকাশ করতে পারে।
- কোল পেতে পছন্দ করে এবং মায়ের কাছাকাছি থাকতে স্বস্তি বোধ করে।
- পর্যাপ্ত রোদে নিয়ে যান, এতে ভিটামিন ডি পাওয়া যাবে। যেটি শিশুর গায়ে এনার্জি নিয়ে আসবে।
- এ সময় শিশুর মায়ের দুধই সর্বোত্তম খাবার।
- প্রয়োজনে ফর্মুলা দুধ দেওয়া যেতে পারে (ডাক্তারি পরামর্শে)।
- এখনো কোনো কঠিন খাবার শুরু করা উচিত নয়, তবে ৬ মাস থেকে ধীরে ধীরে দেওয়া যায়।
- শিশুকে নিয়মিত আদর করতে থাকেন। যাতে তার বাল্যকাল খুব আনন্দের সাথে কাটে।
যদি শিশু অস্বাভাবিকভাবে দুর্বল হয় বা কোনো বিকাশে দেরি দেখা যায়, তবে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
অটিজম শিশু কি কথা বলতে পারেঃ
"হ্যাঁ" অটিজম শিশু কি কথা বলতে পারে শিশু কত মাসে কথা বলে এটি সাধারণ শিশুর ক্ষেত্রে আলাদা হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে দেখা যায় যে অটিজম শিশুদের মধ্যে কথা বলার ক্ষমতা একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম হয়। কেউ কেউ স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারে, আবার কেউ দেরিতে বা সীমিতভাবে কথা বলে। অনেক সময় অটিজম শিশুদের শব্দ বা বাক্য গঠনে সমস্যা হয়। অটিজম একটি নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার এবং এটি বিভিন্নভাবে শিশুদের প্রভাবিত করে।
তারা অন্যের কথা অনুকরণ করতে পারে কিন্তু নিজে থেকে নতুন ভাবে প্রকাশ করতে পারে না। কেউ আবার অল্প কিছু শব্দ বলেই সীমাবদ্ধ ভাবে থাকে। তবে সঠিক সময়ে থেরাপি, বিশেষ শিক্ষা ও পরিবারের সহায়তায় অনেক অটিজম শিশু ধীরে ধীরে কথা বলা শিখতে পারে। তাই অটিজম শিশু কথা বলতে পারে, তবে তাদের ক্ষেত্রে ধৈর্য, নিয়মিত অনুশীলন করা উচিত। আপনার সাথে এই রকম কিছু দেখা দিলে আপনি সাথে সাথে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
লেখকের মক্তব্যঃ
আসা করি যা আপনি বুঝতে পেরেছেন যে শিশুদের ক্ষেত্রে শিশু কত মাসে কথা বলে শুরু করে থাকে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে বাচ্চা বোবা হওয়ার লক্ষণ গুলো কি কি হয়ে থাকে।
প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।
আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন.................. www.stylishsm.com
( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )
স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url