ক্যানভা দিয়ে কি কি কাজ করা যায় - ক্যানভাতে কি ধরনের ডিজাইন তৈরি করা যায়? বিস্তারিত জেনে নিন?

আজকে আমরা জানবো যে ছবি তৈরি করার ক্ষেত্রে ক্যানভা দিয়ে কি কি কাজ করা যায় ও কিভাবে ছবি না ভিডিও বানানো যায়। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে ক্যানভাতে কি ধরনের ডিজাইন তৈরি করা যায়। আসুন জানি? 

ভূমিকাঃ

আজকের দিনে আমাদের পৃথিবীতে যখন থেকে এ আই এসেছে বা এ আই এর ব্যবহার শুরু করা হয়েছে। তখন থেকে দেখা যাচ্ছে যে আমাদের কাজ আগে থেকে আরো বেশি সুবিধা জনক হয়েগেছে। ঘন্টার কাজ এখন মানুষ কিছু মিনিটের মধ্য শেষ করে দিতে পারছে একমাত্র এ আই ব্যবহার করে।

ক্যানভা-দিয়ে-কি-কি-কাজ-করা-যায়
ক্যানভা-দিয়ে-কি-কি-কাজ-করা-যায়   
তাই আসুন জেনে রাখি যে, আমরা অনলাইন ব্যবহার করে বা ক্যানভা দিয়ে কি কি কাজ করা যায় ও কিভাবে বড় কাজ গুলোকে ছোট করা যায়। ও তার সাথে সাথে এটাও জানুন যে ক্যানভাতে কি ধরনের ডিজাইন তৈরি করা যায় কিংবা ছবি ডিজাইন করা যায়। নিম্নে বিস্তারিত.........? 

ক্যানভা দিয়ে কি কি কাজ করা যায়ঃ

ক্যানভা (Canva) একটি জনপ্রিয় গ্রাফিক ডিজাইন টুল, যা ব্যবহার করে সহজে নানা ধরনের ডিজাইন তৈরি করা যায়। এটি বিশেষ করে নতুনদের জন্য খুবই সহজ ও ব্যবহার যুক্ত। 

  • ক্যানভা দিয়ে যা যা কাজ করা যায়ঃ

  1. আপনি ক্যানভা ব্যবহার করে খুব সহজে লোগো ডিজাইন করা।
  2. পোস্টার ও ফ্লায়ার তৈরি করতে পারবেন।
  3. সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট (Facebook, Instagram, YouTube Thumbnail ইত্যাদি) বানানো
  4. প্রেজেন্টেশন (Presentation Slide) তৈরি করা
  5. বিজনেস কার্ড ডিজাইন করা
  6. রেজ্যুমে বা সিভি তৈরি করা
  7. ইনফোগ্রাফিক্স বানানো
  8. ই-বুক কভার ডিজাইন করা
  9. ইনভাইটেশন কার্ড (বিয়ে, জন্মদিন, অনুষ্ঠান) তৈরি করা
  10. অ্যানিমেটেড ভিডিও বা শর্ট ভিডিও এডিট করা
  11. ব্যানার ও বিজ্ঞাপনের ডিজাইন করা
  12. টেমপ্লেট ব্যবহার করে ব্লগ বা ওয়েব কনটেন্টের ছবি বানানো
  13. ফটো এডিটিং ও কোলাজ তৈরি করা
  14. প্রোডাক্ট ডিজাইন মকআপ বানানো
  15. ইউটিউব চ্যানেল আর্ট ও ইন্ট্রো তৈরি করা।

অর্থাৎ, ক্যানভা দিয়ে শিক্ষা, ব্যবসা, সোশ্যাল মিডিয়া, এবং মার্কেটিং—সব ধরনের ডিজাইন সহজে তৈরি করা যায়। এর মধ্য কিছু কিছু টুল পেড ভার্সন আছে। যেগুলো আপনাকে কিছু টাকা পে- করে ব্যবহার করতে হবে।

ক্যানভাতে কি ধরনের ডিজাইন তৈরি করা যায়ঃ

ক্যানভা (Canva) মূলত একটি অনলাইন গ্রাফিক ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি সহজ ও জনপ্রিয় গ্রাফিক ডিজাইন টুল, যেখানে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন তৈরি করা যায়। এটি নতুন ও অভিজ্ঞ—দু’ধরনের ব্যবহারকারীদের জন্যই উপযোগী। এই ধরনের টুল আসে আজকের দুনিয়ায় মানুষের কাজকে আরো বেশি কাজ সহজ করে দিয়েছে। এই টুল ব্যবহার করে আপনি যেসব কাজ সহজে করতে পারবেন। তাহলোঃ

  • সোশ্যাল মিডিয়া ডিজাইন
  • ফেসবুক পোস্ট
  • ইনস্টাগ্রাম পোস্ট/স্টোরি
  • ইউটিউব থাম্বনেইল ও চ্যানেল আর্ট
  • টুইটার/লিংকডইন পোস্ট
  • মার্কেটিং ডিজাইন
  • পোস্টার
  • ফ্লায়ার
  • বিজনেস কার্ড
  • ব্যানার
  • বিজ্ঞাপনের ডিজাইন
  • শিক্ষামূলক ডিজাইন
  • প্রেজেন্টেশন স্লাযে
  • ইনফোগ্রাফিক্স
  • ই-বুক কভার
  • রিপোর্ট বা প্রজেক্টজেকোন
  • ব্যক্তিগত ডিজাইন
  • যেকোনো লোগো
  • রেজ্যুমে/সিভি
  • আমন্ত্রণপত্র (Invitation Card)
  • শুভেচ্ছা কার্ড
  • ক্যালেন্ডার
  • ডিজিটাল কনটেন্ট ডিজাইন
  • ওয়েবসাইট হেডার
  • ব্লগ পোস্ট কভার
  • ইমেইল নিউজলেটার ডিজাইন
  • ভিডিও ও অ্যানিমেশন ডিজাইন
  • শর্ট ভিডিও
  • স্লাইডশোদ
  • অ্যানিমেটেড পোস্ট

অথ্যাৎ, ক্যানভাতে আপনি ব্যক্তিগত, ব্যবসায়িক, শিক্ষামূলক ও বিনোদনমূলক প্রায় সব ধরনের ডিজাইন তৈরি করতে পারবেন খুব সহজে ও খুব অল্প সময়ের মধ্য।

ক্যানভা একটি অ্যাপ নাকি সফটওয়্যারঃ

ক্যানভা মূলত একটি অনলাইন গ্রাফিক ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম, যেখানে আপনি মনের মতো করে অনলাইনের কাজগুলো খুব সহজে করতে পারবেন। আপনি চাইলে দুইভাবে ব্যবহার করতে পারেনঃ

( অ্যাপ আকারে ) 

ক্যানভার মোবাইল অ্যাপ আছে (Android ও iOS-এ পাওয়া যায়)। এটি ফোনে কিংবা ট্যাবলেটে ইনস্টল করে সহজেই ডিজাইন করতে পারবেন।

( সফটওয়্যার/ওয়েব ভার্সন আকারে ) 

ক্যানভা কোনো ডেস্কটপ সফটওয়্যার নয়, বরং ওয়েব ব্রাউজারে (যেমন Chrome, Edge, Firefox) ব্যবহার করা যায়। শুধু Canva.com  এ গিয়ে কাজ শুরু করা যায়।

অর্থাৎ, ক্যানভা একইসাথে অ্যাপ (মোবাইলে) এবং ওয়েব-ভিত্তিক সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্ম (কম্পিউটারে ব্রাউজারে) হিসেবে কাজ করে থাকে। যাতে মানুষ তার সুযোগ সুবিধা নিতে পারে।

ক্যানভা কি ধরনের টুলঃ

ক্যানভা দিয়ে কি কি কাজ করা যায় সেটি আমরা উপরের তথ্য থেকে জানতে পেরেছি। এবার জানুন যে এই ক্যানভা কি ধরনের টুল। আপনার মনের প্রশ্নের উত্তর গুলো জেনে নিন?

ক্যানভা একটি গ্রাফিক ডিজাইন টুল, যা মূলত অনলাইনভিত্তিকভাবে কাজ করে এবং ব্যবহারকারীদের সহজে বিভিন্ন ধরনের ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট তৈরি করতে সহায়তা করে। এটি একটি বহুমুখী ডিজাইন প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ছবি, ভিডিও, প্রেজেন্টেশন, পোস্টার, ব্যানার, লোগো, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, বিজনেস কার্ডসহ নানা ধরনের ডিজাইন তৈরি করা যায়।

ক্যানভার বিশেষ সুবিধা হলো এটি ব্যবহার করতে হলে আপনাকে কোন পেশাদার ডিজাইনার হওয়ার প্রয়োজন নেই, কারণ এতে প্রচুর প্রি-ডিজাইনড টেমপ্লেট, ড্র্যাগ-এন্ড-ড্রপ ফিচার এবং ফ্রি ও প্রিমিয়াম গ্রাফিক এলিমেন্টস রয়েছে। যার কারণে নবীন থেকে শুরু করে পেশাদার সবাই সহজে এবং দ্রুত তাদের পছন্দসই ডিজাইন তৈরি করতে পারে। এই টুল ব্যবহার দ্বারা আজ মানুষ তার কাজকে নিজের হাতের মুঠোয় আনতে সক্ষম হয়েছে।

ক্যানভা ডিজাইন শিখে ইনকামঃ

ক্যানভা দিয়ে কি কি কাজ করা যায় ও মানুষ ইনকাম করতে পারে ক্যানভা দ্বারা। ক্যানভা ডিজাইন শিখে সহজেই আয় করা যায়, কারণ বর্তমানে অনলাইন মার্কেটপ্লেস ও সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য ভিজ্যুয়াল কনটেন্টের চাহিদা অনেক বেশি। ক্যানভা একটি ব্যবহারবান্ধব টুল, তাই এটি শিখতে খুব বেশি সময় লাগে না। ডিজাইন শিখে আপনি বিভিন্নভাবে আয় করতে পারেন। ভাই আপনার মাথায় যদি একটু বুদ্ধি থাকে তাহলে আপনি খুব সহজে আপনার ইমকাম শুরু করতে পারবেন।

কেননা একটা জিনিস দেখবেন আজকের দুনিয়া কিন্তু অনলাইনের উপর ভিত্তি করে চলছে। যেমনঃ

  • ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজঃ

Fiverr, Upwork, Freelancer ইত্যাদিতে লোগো, পোস্টার, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট, ইউটিউব থাম্বনেইল, বিজনেস কার্ড ডিজাইন করে আয় করতে পারবেন।

  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টঃ

অনেক প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড তাদের ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব কনটেন্ট ডিজাইন করার জন্য ডিজাইনার ভাড়া করে। আপনি চাইলে সেখানে জব হিসাবে কাজ করতে পারেন।

  • প্রিন্টেবল ডিজাইন বিক্রিঃ

ক্যানভা দিয়ে তৈরি ক্যালেন্ডার, ওয়ার্কশিট, ই-বুক কভার, আমন্ত্রণপত্র ইত্যাদি Etsy বা Creative Market-এ বিক্রি করা যায়। সেখান থেকে আপনি আয় করতে পারবেন।

  • ইউটিউব থাম্বনেইল ও ব্যানার ডিজাইনঃ

ইউটিউবাররা আকর্ষণীয় ডিজাইন চায়, তাই থাম্বনেইল ও চ্যানেল আর্ট তৈরি করে আয় সম্ভব।

  • ফেসবুক/ইনস্টাগ্রাম বিজ্ঞাপন ডিজাইনঃ

ব্যবসায়ীরা বিজ্ঞাপন চালানোর জন্য আকর্ষণীয় ডিজাইন কিনে থাকে। আপনি চাইলে সেখানে আপনার ডিজাইন বিক্রি করতে পারেন।

  • কোর্স বা ই-বুক তৈরিঃ

ক্যানভা দিয়ে সুন্দরভাবে ডিজাইন করা কোর্স মেটেরিয়াল বা ই-বুক তৈরি করে বিক্রি করা যায়।

  • লোকাল ব্যবসায়ীদের জন্য কাজঃ

দোকান, রেস্টুরেন্ট, স্কুল, কোচিং সেন্টারের জন্য ব্যানার, ফ্লায়ার, মেনু কার্ড ডিজাইন করে আয় করা যায়।

ক্যানভা শেখা শুরু করলে প্রথমে ফ্রি টেমপ্লেট দিয়ে প্র্যাকটিস করুন, তারপর নিজের পোর্টফোলিও তৈরি করুন। ভালো কাজ করলে সহজেই মাসে ১০,০০০ – ৫০,০০০ টাকা বা তারও বেশি আয় করা সম্ভব।

ক্যানভা একাউন্ট কিভাবে খুলবোঃ

ক্যানভা একাউন্ট খোলা খুবই সহজ এবং কয়েক মিনিটেই খোলা যায়। নিচে ধাপে ধাপে ক্যানভা একাউন্ট খোলার নিয়ম দেওয়া হলোঃ

ক্যানভা ওয়েবসাইটে যান প্রথমে www.canva.com এ যান অথবা মোবাইল ব্যবহার করলে প্লে-স্টোর অ্যাপ-স্টোর থেকে Canva App ডাউনলোড করুন। তারপরে আপনার গুগোল, ইমেল,কিংবা ফেসবুক আইডি দ্বারা সাইন আপ (Sign Up) করুন – হোমপেজে গিয়ে Sign Up বাটনে ক্লিক করুন।আপনি যদি ইমেইল দিয়ে খোলেন, বেশির ভাগ মানুশস ইমেল দিয়ে খোলে। তবে আপনার নাম, ইমেইল এড্রেস ও একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দিতে হবে।

এরপরে আপনার ইমেইলে একটি ভেরিফিকেশন লিঙ্ক যাবে, সেটিতে ক্লিক করলে অ্যাকাউন্ট সক্রিয় হয়ে যাবে। একাউন্ট খোলার সময় Canva আপনাকে জিজ্ঞাসা করবে আপনি কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবেন (Personal, Business, Education, ইত্যাদি)। যেটা দরকার সেটা আপনি বেছে নিন। চাইলে আপনি ফ্রি অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারেন, আবার Canva Pro (পেইড) ব্যবহার করলে আরও বেশি ফিচার পাবেন।

লেখকের মক্তব্যঃ

আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন অনলাইনের দুনিয়ায় ক্যানভা দিয়ে কি কি কাজ করা যায়। ও তার সাথ সাথে এটাও জানলেন যে ক্যানভাতে কি ধরনের ডিজাইন তৈরি করা যায়।

প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেনে আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।

আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন.................. www.stylishsm.com



( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )






এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url