সব থেকে সহজ লোন কোনটি - কোন ব্যাংক সহজে লোন দেয়? বিস্তারিত জেনে নিন?

আজকে আমরা জানবো যে লোন নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের দেশে সব থেকে সহজ লোন কোনটি। যেটি আমরা ব্যাংক থেকে সহজে নিতে পরবো। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে কোন ব্যাংক সহজে লোন দেয় মানুষের সাহায্য করার জন্য। আসুন জানি? 

ভূমিকাঃ

আমরা যখন কোনো ধরনের বিপদে পড়ি বা বাড়ি-ঘর বানানোর কোন প্ল্যান করি। তখন আমাদের মাথায় সবার আগে লোনের কথা আসে। এই লোন দ্বারা আমরা আমাদের যেকোনো কাজের শুরু করতে পারি খুব সহজে। মানুষের কাছ থেকে সুদের উপরে টাকা না নিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা নেওয়া অনেক ভাল।

সব-থেকে-সহজ-লোন-কোনটি
সব-থেকে-সহজ-লোন-কোনটি  

তাই আসুন জেনে রাখি যে, আমাদের লোনের ক্ষেত্রে সব থেকে সহজ লোন কোনটি ও কোন ব্যাংক দিয়ে থাকে এই সহজ লোন ও এর ফরম্যালেটি কেমন। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে কোন ব্যাংক সহজে লোন দেয় যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে। নিম্নে বিস্তারিত.........।

সব থেকে সহজ লোন কোনটিঃ

সব থেকে সহজ লোন কোনটি সেটি আমাদের দেশে বর্তমানে এখন চলছে বিভিন্ন ব্যাংক ও ফিনান্স প্রতিষ্ঠান সহজ শর্তে নানা ধরনের লোন দিয়ে থাকে। তবে সাধারণত পার্সোনাল লোন (Personal Loan) বা ডিজিটাল মাইক্রো লোন হচ্ছে সব থেকে সহজে পাওয়া যায় এমন লোন। এই পার্সোনাল লোন নিতে হলে আপনাকে যেসব নিজের কাছে রাখা লাগবে তা নিম্নে দেখুন? 

  • পার্সোনাল লোন

  1. আপনার যে ইনকাম আছে সেটির প্রমাণ থাকলে সহজে পাওয়া যায়
  2. এই লোন নিতে হলে কোনো ধরনের জামানত লাগে না
  3. EMI ভিত্তিতে কিস্তি পরিশোধ করতে পারবেন

  • এমএফএস ভিত্তিক লোন (bKash, Nagad, Rocket ইত্যাদি)

  1. একদম সহজে, অ্যাপ থেকেই আবেদন করে নিয়ে পারবেন
  2. খুব কম পরিমাণে লোন (৫০০–২০,০০০ টাকা পর্যন্ত) আপনি নিজের আয়ত্তে নিতে পারবেন।
  3. দ্রুত অনুমোদন ও ক্যাশ আউট সময়ের মধ্য করতে হবে।

  •  মাইক্রোক্রেডিট (NGO বা গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাক ইত্যাদি)

  1. সহজ কাগজপত্র দরকার হবে।
  2. কম আয়েও পাওয়া যায় এই লোন আপনার আয়ত্ত অনুযায়ী।
  3. নারীদের জন্য বিশেষ সুবিধা ও মুনাফার হার বেশি থাকে।

  •  ক্রেডিট কার্ড ভিত্তিক লোনঃ

  1. আগে থেকেই আপনার কাছে কার্ড থাকলে খুব দ্রুত লোন পেয়ে যাবেন।
  2. হাই ইন্টারেস্ট রেট থাকতে পারে নিজের আয়ত্তের মধ্য থাকলে আপনি নিতে পারেন।

  • সহজ লোন পেতে যা যা দরকার হয়ঃ

  1. চাকরির/আয়ের প্রমাণ (পে-স্লিপ, ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রয়োজন )
  2. জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)দ
  3. ছবি ও ফর্ম পূরণ বাধ্যত
  4. ক্রেডিট হিস্ট্রি (ভালো হলে অনুমোদন দ্রুত হয়)

কোন ব্যাংক সহজে লোন দেয়ঃ

বাংলাদেশে বর্তমানে বেশ কয়েকটি ব্যাংক সহজ শর্তে, কম কাগজপত্রে এবং দ্রুত প্রক্রিয়ায় লোন প্রদান করে থাকে। আজকে আমরা সেটি নিয়ে আলোচনা করবো যে সব থেকে সহজ লোন কোনটি ও কোন ব্যাংক সহজে লোন প্রদান করে থাকে। নিম্নে বিস্তারিত..।

  • এইজ, ডি, এফ, সি, ব্যাংকঃ

  1. এই ব্যাংক খুব সহজে যেকোনো ভোতাকে লোন প্রদান করে থাকে। 
  2. যেকোনো সময় যেকোনো জাইগায় আপনি এই ব্যাংক দ্বারা সাহায্য পেতে পারেন।
  3. এই ব্যাংক ২৪ ঘন্টা আপনার জন্য সার্ভিস প্রদান করে থাকে।
  4. এই ব্যাংক থেকে লোন নিলে আপনি সহজ বাজেটিং দ্বারা মনোনিবেশ করতে পারবেন।

  • ব্র্যাক ব্যাংক (BRAC Bank)

  1. ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক লোন সহজে মঞ্জুর করে থাকে এই ব্যাংক।
  2. আপনার যেকোনো ইনকাম প্রমাণ থাকলে খুব দ্রুত লোন পেয়ে যাবেন।
  3. এক থেকে পাঁচ বছর মেয়াদ অনুযায়ী আপনি লোন নিতে পারবেন।

  •  ডাচ-বাংলা ব্যাংক (DBBL)

  1. ডাচ-বাংলা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট থাকলে কিছুক্ষেত্রে অ্যাপ থেকেই লোন অফার আসে। আপনি চাইলে সেখান থেকে কথা বলে লোন নিতে পারবেন।
  2. পার্সোনাল ও SME লোনে দ্রুত সার্ভিস রয়েছে।

  •  আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকঃ

  1. শরিয়াহ ভিত্তিক লোন সুবিধা রয়েছে।
  2. চাকরিজীবী ও ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ উপযোগী লোন সুবিধা।

  •  ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (IBBL)

  1. ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী সহজ কিস্তিতে লোন প্রদান করে থাকে।
  2. প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবসায়ী ও চাকরিজীবীদের জন্য পরিকল্পনা রয়েছে লোনের ভিত্তির উপর।

  •  সিটি ব্যাংক (City Bank)

  1. ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীদের জন্য সহজ ও দ্রুত লোনের ব্যবস্থা রয়েছে।
  2. মোবাইল অ্যাপে আবেদন করা যায় লোনের জন্য।

যাদের ইনকাম সোর্স নেই বা গ্যারান্টর নেই, তাদের জন্য মোবাইল লোন সার্ভিস (যেমনঃ বিকাশ অ্যাপ লোন, নগদ সহজ লোন) আরও বেশি উপযোগী হতে পারে। এই জন্য যা করবেন ভাবনা চিন্তা করে করবেন।

ব্রাক এনজিও সর্বোচ্চ কত টাকা লোন দেয়ঃ

ব্র্যাক এনজিও (BRAC NGO) বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকার মাইক্রোফাইন্যান্স লোন প্রদান করে থাকে, যা সাধারণত দরিদ্র ও নিম্নআয়ের মানুষের জন্য সহজ শর্তে প্রযোজ্য। লোনের পরিমাণ নির্ভর করে লোনের ধরন, আবেদনকারীর আর্থিক অবস্থা এবং পূর্ববর্তী লোন পরিশোধের ইতিহাসের উপর। নিচে ব্র্যাকের বিভিন্ন লোন প্রোগ্রামের সর্বোচ্চ লোন পরিমাণ উল্লেখ করা হলোঃ

  1.  গ্রামীণ দরিদ্র নারীদের জন্য, যারা ক্ষুদ্র ব্যবসা বা জীবিকা নির্বাহমূলক কার্যক্রমে নিযুক্ত। তাদের জন্য ৩,৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪৯,০০০ টাকা। 
  2. ব্যবসা সম্প্রসারণ বা নতুন উদ্যোগের জন্য লোন নিতে চান। তাদের জন্য ব্রাক অফিস ৭৫,০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪,০০,০০০ টাকা।
  3. উপযুক্ত: যারা পূর্বে লোন নিয়েছেন এবং ভালো পরিশোধ ইতিহাস রয়েছে। তারা যদি আবার লোন নিতে চান। তাহলে তারা ৪,০০,০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০,০০,০০০ টাকা প্রর্যন্ত দিয়ে থাকে।
  4. উপযুক্ত: কৃষক ও মৌসুমি আয়ের ব্যক্তিদের জন্য, যারা ফসল চাষ বা কৃষি কার্যক্রমে নিযুক্ত। তারা ব্রাক থেকে ১০,০০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪,০০,০০০ টাকা পাবেন। 
  5. লোন পাওয়ার জন্য সাধারণত ব্র্যাকের সদস্য হতে হয় এবং নির্দিষ্ট সঞ্চয় থাকতে হয়।
  6.  ফ্রিজ, টিভি, কম্পিউটার ইত্যাদি কেনার জন্য। ব্রাক ব্যাংক সাধারণত ৯% সুদে লোন দিয়ে থাকে।
  7. গাড়ি কেনার জন্য আপনি লোন লিখালে আপনাকে ১০% সুদে ব্যাংক লোন দিবে।
  8. বাড়ি বানানোর ক্ষেত্রে আপনি লোন নিলে তার জন্য আপনাকে ১০% সুদে লোন দিবে।
  9. যেকোনো ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনি লোন নিলে আপনার গড় হার পড়বে ৯% থেকে ১২% প্রর্যন্ত লোন দিবে।

আপনি যদি ব্র্যাক এনজিও থেকে লোন নিতে আগ্রহী হন, তাহলে নিকটস্থ ব্র্যাক শাখায় যোগাযোগ করে বিস্তারিত তথ্য ও পরামর্শ গ্রহণ করুন। এছাড়াও, ব্র্যাকের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা হেল্পলাইন থেকেও তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।

ইসলামি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার নিয়মঃ

সব থেকে সহজ লোন কোনটি সে বিষয়ে কথা বললে বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক আপানকে বিভিন্ন ফর্মালেটি দেখাবে। কেননা বিভিন্ন ব্যাংক বিভিন্ন ধরেনর হয়ে থাকে।

ইসলামি ব্যাংকগুলো শরীয়া অনুযায়ী লোন বা ফাইন্যান্স দিয়ে থাকে যেকোনো মানুষকে। শুধু আপনার কাছে কাগজ পত্র ঠিক থাকতে হবে। যেখানে সুদ (রিবা) নিষিদ্ধ। লোন নিতে চাইলে অবশ্যই যে নিয়মগুলো মেনে চলবেন তাহলোঃ 

  1. জামিন / নিরাপত্তা প্রদানঃ
  2. অনেক ক্ষেত্রে জামিন বা কোনো গ্রহণযোগ্য গ্যারান্টি দেওয়া বাধ্যতামূলক। যেমন- জমি, ভবন, সোনার গহনা ইত্যাদি। তার মধ্য ১৫–৩০% আমানতও থাকতে হতে পারে।

  •  ডকুমেন্টেশন ও আবেদন ফর্মঃ

  1. আবেদন ফর্ম পূরণ
  2. জাতীয় পরিচয়পত্র (NID)
  3. আয়ের প্রমাণ (সাইলিপ/ব্যাংক স্টেটমেন্ট)
  4. ব্যবসা লাইসেন্স বা কর রিটার্ন (যদি থাকে)
  5. জামিন/জামিনদাতার তথ্যাদি

  • যোগ্যতা অর্জনঃ

  1. ব্যাংক যে আপনাকে এত বড় একটা লোন দিচ্ছি তার জন্য তারা আগে আপনার বিষয়ে ভালভাবে জানবে ও আপনার ইডিকেশোন জাস্টিফাই করবে। তার পরে আপনার হয়তো কাগজ পাতি ও প্রমাণপত্র কিংবা ব্যবসার পরিকল্পনা যেটি আপনার আছে। তার কিছু প্রমাণপত্র তাদেরকে দিতে হবে।
ইসলামি-ব্যাংক-থেকে-লোন-নেওয়ার-নিয়ম

  • চুক্তি ও কিস্তি শর্তঃ

  1. লোন মঞ্জুর হলে মুদারাবা/মুশারিকাহ কন্ট্রাক্ট সম্পন্ন হবে। তার পরে আপনাকে কিস্তি ভিত্তিত লোন দেওয়া হবে। তার মধ্য আবার মুনাফা ও প্রিন্সিপাল আলাদাভাবে চুক্তিতে নির্দিষ্ট থাকবে। যাকে বলা হয় সঞ্চয়।

  • কিস্তি নিয়মিত পালনঃ

  1. কিস্তি সময়মতো পরিশোধ না করলে দেরিতে করণীয় 'খালাস ফি ’ দিতে হতে হবে আপনাকে।
  2. কিস্তির সময়মতো বিলম্ব হলে, দেরিতে জমা বা সম্পূর্ণ অনুপস্থিতিতে অতিরিক্ত চার্জ লাগতে পারে আপনার।

  • বন্ধ করে ফেরৎ দেওয়াঃ

  1. লোন সম্পূর্ণ পরিশোধের পর ব্যাংক ‘খালাস সার্টিফিকেট’ বা লেটার জারি করে যে আপনার দায়-দায়িত্ব শেষ ব্যাংকের প্রতি।
  2. ব্যাংক থেকে দেওয়া কাগজ এটি অতি গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট। তাই সব সময় সংরক্ষণ করে রাখার চেষ্টা করবেন।।

ইসলামি ব্যাংক থেকে লোন পেতে হলে আপনার ইসলামী পরিচিতি, প্রয়োজন-অনুপাতে সলাহ (মুনাফা), নিরাপত্তার ব্যবস্থা এবং নিয়মিত কিস্তি পরিশোধের অঙ্গীকার থাকতে হবে। তাহলে আপনার ক্ষেত্রে কাজটি আরো সহজ হয়ে ওঠবে।

ব্যাক্তিগত ঋণের সুদের হারঃ

সব থেকে সহজ লোন কোনটি বা ঋণের যে হার থাকে সেটি কিভাবে সহজে কম করা যায় আজকের আলোচলনায় দেখে নিন?

বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, ১৮২‑দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের ৬‑মাস moving‑average রেট (SMART rate) ভিত্তিতে ব্যাংক সুদ হার নির্ধারণ করে। ব্যাংকের ঋণে ব্যাংকগুলো সাধারণত SMART রেট + ৩.৭৫ % অথ্যাৎ ১০% থেকে ২৪% প্রযর্ন্ত ঋণদাতা ঋণ দিয়ে থাকে। ব্যাংক থেকে লোন কিংবা ঋণ আপনি যেকোনো কিছুর জন্য নিতে পারেন। ব্যক্তিগত ঋণ ও গাড়ি কিনে ঋণে অতিরিক্ত ১ % তদারকি যুক্ত হয়। যেমন ধরা যায়?

  1. জানুয়ারিতে সর্বোচ্চ = ১১.৮৯ % + ১ % তদারকি = ১২.৮৯% বেড়েছিলো
  2. ফেব্রুয়ারিতে সর্বোচ্চ = ১১.৪৩ % + ১ % = ১২.৪৩ % বেড়েছিলো
  3. পরে এপ্রিল-মে পর্যন্ত এটি ১৩–১৪ %-এর কাছাকাছি উঠেছে 
  4. সর্বোচ্চ সুদের হার: ১২–১৩ %; কখনো ১৩.৫ % পর্যন্ত (সাম্প্রতিক সময়) পৌঁছেছে

ব্যাংকের হিসাব কোনো ঠিক নাই যেকোনো সময় ওঠতে পারে আবার নেমে যেতে পারে। ব্যক্তিগত বা ভোক্তা ঋণ গ্রহণের আগে নির্দিষ্ট ব্যাংকের বর্তমান সুদ হার ও শর্তপত্র বিস্তারিতভাবে যাচাই করবেন তার পরে লোন কিংবা ঋণ করবেন।

বাংলাদেশে হোম লোনের সুদের হার কতঃ

সব থেকে সহজ লোন কোনটি সেগুলো নিয়ে ভেদাভেদ করলে বিভিন্ন ধরনের ব্যাংক আছে যারা বিভিন্ন ভাবে মানুষকে লোন দিয়ে থাকে। সে লোনের সুদের হার সময় সময় বাড়তে পারে ও কমতে পারে।বাংলাদেশে বর্তমান সময়ের বাজার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি অনুসারে হোম লোনের সুদের হার প্রায়শই ৯–১১% হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (BHBFC) ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় সুদের হার ৯% হয়ে থাকে ও অন্য জেলা ও উপজেলা-সহ গ্রোথ সেন্টারে ৭–৮% পর্যন্ত লোন পাওয়া যায়। লোনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট হোম লোন নিতে চাইলে অনেক ব্যাংক সুদের হার, ডাউন-পেমেন্ট ও মেয়াদের বিষয় বিবেচনা করে কমপেয়ার করে থাকে।

  • সংক্ষেপে লোনের বার্তাঃ

  1. ব্যাংক / প্রতিষ্ঠান সুদের হার (বার্ষিক)
  2. BHBFC (ঢাকা–চট্টগ্রাম) ৯র
  3. BHBFC (অন্যান্য জেলা) ৭–৮%
  4. রুপালি ব্যাংক ৯%
  5. কমিউনিটি ব্যাংক ১০.৭%
  6. স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ট্রেজারি + মার্জিন
  7. অন্যান্য ব্যাংক (IBBL/BRAC/etc.) ৯–১২% (চলতি)

পার্সোনাল লোন কিভাবে নিতে হয়ঃ

পার্সোনাল লোন হলো এমন একটি ঋণ, যা আপনি কোনো নির্দিষ্ট জামানত ছাড়াই ব্যক্তিগত প্রয়োজনের জন্য ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে নিতে পারেন। এটি নিতে হলে প্রথমে আপনাকে একটি নির্ভরযোগ্য ব্যাংক বা এনবিএফআই (নন-ব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন) নির্বাচন করতে হবে। সেখানে আপনাকে জাস্টিফাই করতে হবে যে কোন ব্যাংক আপনাকে কেমন সুদের হার চাইচ্ছে।

এরপর তাদের নির্ধারিত আবেদন ফর্ম পূরণ করে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট সাইজ ছবি, মাসিক আয়ের প্রমাণ (যেমনঃ স্যালারি স্লিপ বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট), টিআইএন সার্টিফিকেট (যদি থাকে) ইত্যাদি জমা দিতে হয়। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার ক্রেডিট হিস্ট্রি, চাকরি বা ব্যবসার স্থিতি, এবং ঋণ পরিশোধের সামর্থ্য যাচাই করবে। সবকিছু ঠিক থাকলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তারা আপনাকে লোন অনুমোদন করে এবং আপনার অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করে দিবে।

সাধারণত এই লোনের উপর ৯–১৩% পর্যন্ত বার্ষিক সুদ ধার্য হয় এবং ১২–৬০ মাস মেয়াদে মাসিক কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়। তাই পার্সোনাল লোন নিতে হলে আয় নিশ্চিত, কাগজপত্র ঠিকঠাক ও সময়মতো কিস্তি পরিশোধের পরিকল্পনা নিজেকে রাখতে হবে।

লেখকের মক্তব্যঃ

আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন লোন করার ক্ষেত্রে সব থেকে সহজ লোন কোনটি ও কিভাবে নিতে হয়। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে কোন ব্যাংক সহজে লোন দেয় জনগণকে।

প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।

আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন............ www.stylishsm.com



( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )






















এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url