ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায় - কন্টেন্ট লেখার নিয়ম? জেনে রাখুন?
আজকে আমরা জানবো যে টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায় এর নিয়ম কি কি। ও তার সাথে সাথে এটাও জানুন যে কন্টেন্ট লেখার নিয়ম কি কি ও কিভাবে সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখতে হয়। আসুন জানি?
ভূমিকাঃ
আজকের দিনে সবাই অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করতে চাই। তার জন্য আপনাকে কিছু লাইন বেঁছে নিতে হবে। ফিন্যান্স একটি অনেক বড় সেক্টর। যেখানে হাজার হাজার মানুষ কাজ করে টাকা ইনকাম করে থাকি।
![]() |
ব্লগ-থেকে-কিভাবে-আয়-করা-যায় |
তাই আসুন জেনে রাখি যে, টাকা ইনকাম করার প্রদ্ধতি দ্বারা ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায় ও কত টাকা আয় করা সম্ভব। ও তার সাথে সাথে এটাও জানুন যে কন্টেন্ট লেখার নিয়ম কি ও কিভাবে লিখতে হয়। নিম্নে বিস্তারিত.........।
ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায়ঃ
ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায় তার কিছু উদাহরণ দেখে নিন? বর্তমান যুগে ব্লগিং শুধু শখের বিষয় নয়, বরং এটি আয়ের অন্যতম উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। সঠিক পরিকল্পনা ও মানসম্মত কনটেন্টের মাধ্যমে ব্লগ থেকে অনেকেই মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করছেন। ব্লগ থেকে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায় হলো Google AdSense।
আপনি যদি নিয়মিত ইউনিক ও ইনফরমেটিভ কনটেন্ট পোস্ট করেন, তাহলে AdSense থেকে সহজেই বিজ্ঞাপন অনুমোদন পেয়ে যাবেন এবং ভিজিটররা বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে আপনি আয় করতে পারেন। আপনি ব্লগ সাইট থেকে আপনার ইচ্ছা মতো ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন তার কিছু উদাহরণ দেওয়া হলোঃ
- স্পন্সরশিপ পোস্ট — বিভিন্ন ব্র্যান্ড আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন বা আর্টিকেল দিতে চায়। সেটি আপনি চাইলে তাদের সাথে ডিল করে তাদের কিছু পোষ্ট বা আর্টিকেল আপনার সাইটে দিয়ে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং — আপনি অন্য প্রতিষ্ঠানের পণ্য, প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের লিংক শেয়ার করে কিংবা নিজের ব্লগে বসিয়ে কমিশন পেতে পারেন।
- নিজস্ব পণ্য বা কোর্স বিক্রি — আপনি চাইলে ই-বুক, ডিজিটাল পণ্য বা অনলাইন কোর্স বিক্রি করে আয় করতে পারেন।
- গেস্ট পোস্ট গ্রহণ — অন্য কোনো লেখকদের ব্লগে পোষ্ট লিখে তার বিনিময়ে টাকা ইনকাম করা যায়।
- ডোনেশন বা সাবস্ক্রিপশন — পেট্রিয়ন, বিকাশ/নগদের মাধ্যমে ফলোয়ারদের কাছ থেকে ডোনেশন নেওয়া যায়।
- বিজ্ঞাপনঃ ব্লগ সাইটের সবচেয়ে বড় ইনকাম হলো গুগল অ্যাডসেন্স। আপনি যদি আপনার সাইটে ভাল কনেট লিখতে পারেন। তাহলে আপনি গুগল অ্যাডসেন্স পেয়ে যাবেন। আর আপনার ইনকাম শুরু হয়ে যাবে।
সুতরাং, নিয়মিত মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি, এসইও ভালোভাবে শেখা এবং পাঠকদের উপকারে আসে এমন লেখালেখির মাধ্যমেই আপনি ব্লগ থেকে ভালো আয় করতে পারেন।
কন্টেন্ট লেখার নিয়মঃ
ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায় ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায় সেটি জানার আগে আপনাকে কন্টেন্ট লেখার বিষয়ে জানতে হবে।কন্টেন্ট লেখার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম ও কৌশল অনুসরণ করলে তা পাঠকের কাছে আকর্ষণীয় এবং উপকারী হয়ে ওঠে। প্রথমত, যেকোনো বিষয়ের উপরে আপনাকে প্রথমে রিসার্চ করতে হবে। আপনার গুণ আছে যেকাজে। আপনি তেমন কিছু টপিক বেঁছে নিবেন। তারপর বিষয় অনুযায়ী সুস্পষ্ট শিরোনাম ও উপশিরোনাম নির্ধারণ করে নিবেন।
কনটেন্টের শুরুতেই সংক্ষিপ্ত ও আকর্ষণীয় ভূমিকা দিতে হবে, যাতে পাঠক শুরুতেই আগ্রহী হয় আপনার ব্লগ পড়তে। আপনার ব্লগ সাইট দ্বারা আপনি যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে লিখতে পারবেন। যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে কাজে লাগাতে পারবেন। যেমনঃ ভিডিও,অডিও, বাংলা লেখা, পডকাস্ট ইত্যাদি। লিখার সময় অনুচ্ছেদ ছোট রাখতে হবে, এবং প্রতিটি অনুচ্ছেদে একটি নির্দিষ্ট পয়েন্ট পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করতে হবে।
প্রয়োজন হলে তালিকা, চিত্র বা উদাহরণ ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি কনটেন্টটি ওয়েব বা ব্লগের জন্য হয়, তবে আপনাকে অবশ্যই SEO-ফ্রেন্ডলি কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। নাহলে আপনি গুগোলে কখনো র্যাঙ্কিং করতে পারবেন না।
নিম্নে কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো যেটি দ্বারা আপনি আপনার ব্লগ সাইট নিয়ে কাজ করতে পারবেন তাহলোঃ
- রিভিউ
- পডকাস্টের আউটলাইন ও স্ক্রিপ্ট।
- ল্যান্ডিং পেইজের কপি
- কোর্স স্টাডি
- ভিডিও স্ক্রিপ্ট
- ইউটিউব ভিডিওর ডেসক্রিপশন বা বর্ণনা
- ই-মেইল নিউজলেটার
- ই-বুক এবং
- বিজ্ঞাপনের কপি
- হোয়াইট পেপার
- সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট
- ব্লগ পোস্ট
সুতরাং, ভালো কন্টেন্ট লেখার জন্য দরকার পরিকল্পনা, গবেষণা, পাঠকের চাহিদা বোঝা এবং সহজ-সরল, পাঠযোগ্য ভাষায় লেখা তাহলে আপনি অনলাইন থেকে কিছু করতে পারবেন।
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে কিভাবে আয় করা যায়ঃ
গুগল অ্যাডসেন্স হলো গুগলের একটি জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন প্রোগ্রাম, যার মাধ্যমে আপনি আপনার ব্লগ, ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করতে পারেন। গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করার জন্য প্রথমে একটি মানসম্মত ও নিয়মিত আপডেট করা ওয়েবসাইট বা ব্লগ থাকতে হবে। সেই ওয়েবসাইটে মূলবান, ইউনিক ও কপিরাইটমুক্ত কনটেন্ট থাকতে হবে এবং তা অবশ্যই গুগলের নীতিমালা অনুযায়ী হতে হবে।
আপানার ব্লগে বা ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট পরিমাণ ভিজিটর আসার পর আপনি Google AdSense-এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। গুগল থেকে আপনাকে যখন এপ্রুভ দেবে তখন গুগল আপনার ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দেখাবে। যখন পাঠকরা সেই বিজ্ঞাপনগুলোতে ক্লিক করবে, তখন আপনি প্রতিটি ক্লিকের জন্য অর্থ (CPC) পাবেন। এছাড়া আপনি চাইলে ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমেও অ্যাডসেন্স থেকে আয় করতে পারেন, তবে সেক্ষেত্রে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার ও ৪০০০ ঘণ্টার ওয়াচ টাইম কমপ্লিট করতে হবে।
গুগল অ্যাডসেন্স থেকে ভালো আয় করতে চাইলে দরকার মানসম্মত কনটেন্ট, SEO, নিয়মিত পোস্ট এবং পাঠকদের আগ্রহ বজায় রাখা। যাতে পাঠক আপনার সাইটে রেগুলার আসে কন্টেন্ট পড়তে বা ভিডিও দেখতে। এভাবে আপনি ইনকাম শুরু করতে পারবেন অনলাইন থেকে।
ব্লগ তৈরির নিয়মঃ
ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায় সেটি করার জন্য একটি ব্লগ সাইট থাকতে হবে। ব্লগ তৈরি করা বর্তমানে খুব সহজ এবং জনপ্রিয় একটি বিষয় অনলাইনের ক্ষেত্রে। আপনি চাইলে ঘরে বসেই নিজের একটি ব্লগ তৈরি করে সেখানে লেখালেখি শুরু করতে পারেন। ব্লগ তৈরির জন্য প্রথমে আপনাকে একটি বিষয় নির্বাচন করতে হবে। যেমনঃ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, ভ্রমণ, রেসিপি, প্রযুক্তি, আপনার যেকাজে দক্ষ আছে। এরপর আপনাকে একটি ডোমেন কিনতে হবে+প্ল্যাটফর্ম বেছে নিতে হবে। যেমনঃ
- Blogger (গুগলের ফ্রি প্ল্যাটফর্ম)
- WordPress.com (ফ্রি ও প্রিমিয়াম উভয় সুবিধা সহ)
এরপর প্রয়োজন হবে একটি ডোমেইন নাম (যেমন: amarblog.com) এবং একটি হোস্টিং সার্ভিস (যদি আপনি নিজের সার্ভারে ব্লগ চালাতে চান)। এরপর আপনি ব্লগের জন্য একটি ভালো থিম ডিজাইন বেছে নিয়ে প্রয়োজনীয় পেজ (About, Contact, Privacy Policy) তৈরি করবেন।
সবকিছু প্রস্তুত হলে আপনি নিয়মিত ইউনিক ও তথ্যবহুল কনটেন্ট লিখে পোস্ট করতে পারেন শুরু করুন। কনটেন্ট লেখার সময় SEO অবশ্যই করবেন যেন গুগল থেকে ভিজিটর পাওয়া সহজ হয় এবং পরবর্তীতে Google AdSense বা অন্যান্য মাধ্যম থেকে আয় করা সম্ভব হয়। এই তথ্য অনুযায়ী আপনি খুব সহজে ব্লগ সাইট তৈরি করতে পারবেন।
ব্লগ সাইট থেকে এক্টিভ ইনকামঃ
ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায় ও কিভাবে ব্লগ থেকে আপনি এক্টিভ ইনকাম জেনারেট করবেন সে সমন্ধে আজকের আলোচনা। আসুন জানি? ব্লগ সাইট থেকে আয় দুইভাবে করতে পারেন। যেমনঃ প্যাসিভ ইনকাম ও অ্যাকটিভ ইনকাম। অ্যাকটিভ ইনকাম মানে হচ্ছে এমন আয়, যা আপনি সরাসরি ও নিয়মিত পরিশ্রমের মাধ্যমে অর্জন করেন। ব্লগ থেকে অ্যাকটিভ ইনকামের কয়েকটি জনপ্রিয় উপায় হলোঃ
- কনটেন্ট লেখা ও আপডেট করাঃ
আপনি যদি নিয়মিত মানসম্মত ব্লগ পোস্ট লিখেন এবং তা SEO অনুযায়ী সাজান, তাহলে প্রতি পোস্ট থেকেই ইনকাম আসতে পারে। আপনি যাকে ব্লগ লিখে দিবেন সে আপনাকে সাথে সাথে টাকা পে- করবে। এটার মানে হচ্ছে এক্টিভ ইনকাম।
- পোস্ট বা পেইড রিভিউঃ
আপনি বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য নিয়ে রিভিউ ব্লগে লিখে সরাসরি টাকা নিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে প্রতি পোস্টের জন্য আপনি নির্দিষ্ট অর্থ চার্জ করতে পারবেন।
- ফিন্যান্সিং রাইটিংঃ
নিজের ব্লগে দক্ষতা প্রমাণ করে অন্য ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য লেখা লিখে করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
- কোর্স বা ই-বুক বিক্রিঃ
ব্লগের মাধ্যমে আপনি নিজের বানানো কোর্স, টিউটোরিয়াল বা ই-বুক অনুযায়ী যেকোনো পণ্য বিক্রি করে সরাসরি অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
- ক্লায়েন্ট সেবা দেওয়াঃ
আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন, SEO বা ডিজিটাল মার্কেটিং জানেন, তাহলে ব্লগের মাধ্যমে ক্লায়েন্ট খুঁজে নিয়ে সার্ভিস দিয়ে ইনকাম করতে পারেন।
অ্যাকটিভ ইনকাম মানে আপনি পরিশ্রম করছেন আর সঙ্গে সঙ্গে ইনকাম করছেন। তবে এটি নিয়মিত সময় ও শ্রম দিতে হবে। একবার সফল হলে এটি হতে পারে আপনার একটি ফুল-টাইম ইনকামের পথ।
ব্লগ সাইট থেকে প্যাসিভ ইনকামঃ
ব্লগিং করার ক্ষেত্রে ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায় সেটি আপনার উপরে ডিমেন্ট করবেন যে, আপনি কিভাবে ইনকাম করতে চান। ফিন্যান্সিং দুনিয়া মেলা বড় সেক্টর। এখানে মানুষ যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে ইনকাম করতে পারে।
ব্লগ সাইট থেকে প্যাসিভ ইনকাম মানে হলোঃ একবার সময় ও শ্রম দিয়ে কনটেন্ট তৈরি করার পর, তা থেকে আপনি নিয়মিত আয় পেতে থাকবেন ভবিষ্যতেও, এমনকি আপনি কাজ না করলেও। এটি হলো “ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে আয়” টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে জনপ্রিয় ডিজিটাল উপায়গুলোর মধ্য একটি প্যাসিভ ইনকাম। যেমনঃ
- Google AdSense:
একবার ভালো কনটেন্ট দিয়ে গুগল থেকে এপ্রুভ পেলে, প্রতিদিন আপনার ব্লগে যারা ভিজিট করবে এবং বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে, সেখান থেকে আপনি নিয়মিত আয় করতে থাকবেন নিশ্চিত।
- Affiliate Marketing:
আপনি বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের লিংক দিয়ে ব্লগে লিখলে, কেউ যদি সেই লিংক দিয়ে কোনো কিছু কিনে, আপনি সেখান থেকে কমিশন পাবেন এটা মাসের পর মাস চলতে পারে। যত দিন আপনি বেঁচে আছেন।
- ডিজিটাল পণ্য বিক্রি:
ই-বুক, কোর্স বা প্রিন্টেবল ফাইল একবার বানিয়ে ব্লগে আপলোড করলে, সেগুলো থেকে নিয়মিত বিক্রি হয় এবং আপনি আয় করতে পারবেন।
- YouTube Embed:
ব্লগে নিজের ইউটিউব ভিডিও এমবেড করে ভিউ বাড়ালে ইউটিউব থেকেও ইনকাম শুরু করা যাবে। এক তীরে দুই নিশানা।
- Ads Network: (আডথ্রাইভ, মিডিয়াভাইন):
ভিজিটর বেশি হলে অ্যাডসেন্স ছাড়াও প্রিমিয়াম বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক থেকেও প্যাসিভ ইনকাম করা যায়। কিন্তু অ্যাডসেন্স থাকাটা ভাল।
প্যাসিভ ইনকামের মূল চাবিকাঠি হলোঃ দীর্ঘমেয়াদি, মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি ও ভালো SEO। প্রথম দিকে একটু সময় ও পরিশ্রম লাগলেও একবার ব্লগ ট্র্যাফিক পেলে মাসের পর মাস কিছু না করেও ইনকাম হতে থাকে। একবারের পরিশ্রম সারা বছরের ইনকাম।
ব্লগিং করে কি মাসে ১ লক্ষ টাকা আয় করা যায়ঃ
ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায় তার উত্তর হলোঃ হ্যাঁ, ব্লগিং করে মাসে ১ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব, তবে এটি একদিনে হয় না, সময়, ধৈর্য, কৌশল এবং মানসম্মত কনটেন্ট দরকার হয়। যদি আপনি নিয়মিতভাবে ভালো ইউনিক ও SEO-ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট তৈরি করেন, সঠিক নিস (niche) বেছে নেন, এবং ভিজিটরদের জন্য মূল্যবান তথ্য দেন, তাহলে আপনার ব্লগে ট্রাফিক বাড়তে থাকবে।
ট্রাফিক বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গুগল অ্যাডসেন্স, এফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পনসরশিপ, প্রোডাক্ট বিক্রি, কোর্স সেল ইত্যাদির মাধ্যমে আপনি সহজেই মাসে ১ লক্ষ বা তার বেশি আয় করতে পারেন। বিশ্বজুড়ে অনেক সফল ব্লগার আছেন যারা বাংলা বা ইংরেজি ব্লগ থেকে মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় করছেন। এর জন্য দরকার হবে আপনার কিছু জ্ঞান ও কৌশল তা নিম্নে দেওয়া হলোঃ
- নিয়মিত ও মানসম্মত কনটেন্ট লিখতে হবে।
- সঠিক SEO কৌশল জানতে হবে।
- ভিজিটর ধরে রাখার কৌশল জানতে হবে। ভিজিটর কোন জিনিসে বেশি ভ্যালু দিচ্ছে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
- ইনকাম সোর্স ডাইভারসিফাই করা (AdSense, Affiliate, Sponsorship) এই গুলোর সাথে আপনাকে যুক্ত হতে হবে।
- ধৈর্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা রাখতে হবে জীবনে। আপনি যদি সময় ও ধৈর্য ধরে রাখতে পারেন। তাহলে আপনি অবশ্যই একদিন সফল হবেন।
- ব্লগিং করে মাসে ১ লক্ষ টাকা আয় করা সম্ভব, যদি আপনি একে পেশা হিসেবে দেখেন এবং পরিশ্রম করতে প্রস্তুত থাকেন।
লেখকের মক্তব্যঃ
আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন অনলাইনের দুনিয়ায় ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করা যায় সেটি আপনি জেনেছেন। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে কন্টেন্ট লেখার নিয়ম কেমন হয় কি কি?
প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।
আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন.................. www.stylishsm.com
( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )
স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।
comment url