ডাক্তার হওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা লাগে - ডাক্তার হওয়ার জন্য কি করতে হয়? বিস্তারিত জেনে নিন?

আজকে আমরা জানবো যে পড়াশুনা শেষ করে ডাক্তার হওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা লাগে ও কতটুকু পড়াশুনা করা লাগে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে ডাক্তার হওয়ার জন্য কি করতে হয় ও কোন সাব্জেট নিয়ে পড়তে হয়। আসুন জানি?

ভূমিকাঃ

একজন ছাত্র কিংবা একজন ছাত্রী  ১২ বছর পড়াশুনে শেষ করে তাকে একটা ডিসিশন নিতে হয়। যে এবার সে কোন দিকে যাবে ও কি নিয়ে পড়াশুনা করবে। বিশেষ করে, ডাক্তার হওয়ার অনেকের স্বপ্ন থাকে। কিন্তু ডাক্তার হওয়ার জন্য "সাইন্স" নিয়ে পড়তে হয়। নাহলে ডাক্তারি পড়তে অনেক কষ্ট হয়ে যায়।

ডাক্তার-হওয়ার-জন্য-কি-কি-যোগ্যতা-লাগে
ডাক্তার-হওয়ার-জন্য-কি-কি-যোগ্যতা-লাগে    
তাই আসুনে জেনে রাখি যে, পড়াশুনা শেষ করে ডাক্তার হওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা লাগে ও নিজেকে কিভাবে তৈরি করতে হয়। ও তার সাথে সাথে এটাও জানুন যে ডাক্তার হওয়ার জন্য কি করতে হয় ও কিভাবে করতে হয়। নিম্নে বিস্তারিত............?

ডাক্তার হওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা লাগেঃ

ডাক্তার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যোগ্যতা কয়েকটি ধাপে নির্ধারিত করা থাকে। নিচে বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো পড়ে নিন?

১। শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ

ডাক্তার হতে হলে প্রথমে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করতে হয়। উভয় পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিজ্ঞান বিষয় থাকা বাধ্যতামূলক।

২। ফলাফলের মানঃ

এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় মোট জিপিএ কমপক্ষে ৯.০০ (জীববিজ্ঞানে অন্তত ৩.৫) থাকতে হয় সরকারি মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার জন্য।

৩। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষাঃ

এইচএসসি পাসের পর সরকারি বা বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এই পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও ইংরেজি বিষয়ে প্রশ্ন থাকে। সেখানে আপনাকে পরিক্ষ দিয় পাশ করতে হবে।

৪। পড়াশোনার মেয়াদঃ

ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে MBBS (Bachelor of Medicine and Bachelor of Surgery) কোর্সে ভর্তি হতে হয়। এই কোর্সের মেয়াদ ৫ বছর, এরপর ১ বছরের ইন্টার্নশিপ বাধ্যতামূলক।

৫।  BMDC রেজিস্ট্রেশনঃ

কোর্স ও ইন্টার্নশিপ শেষ হলে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (BMDC) থেকে নিবন্ধন নিতে হয়। নিবন্ধন ছাড়া ডাক্তার হিসেবে কাজ করা যায় না।

৬। অতিরিক্ত যোগ্যতা (ইচ্ছা হলে)

MBBS শেষ করার পর কেউ চাইলে FCPS, MD, MS বা বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হতে পারেন।

৭। নাগরিকত্বঃ

আপনাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। সরকারি প্রতিষ্ঠানে আসন নিতে হলে বিদেশি শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করতে পারে।

ডাক্তার হতে হলে বিজ্ঞান বিভাগে ভালো ফলাফল, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা উত্তীর্ণ হওয়া, MBBS সম্পন্ন করা এবং BMDC রেজিস্ট্রেশন নেওয়া বাধ্যতামূলক।

ডাক্তার হওয়ার জন্য কি করতে হয়ঃ

ডাক্তার হওয়ার জন্য আপনাকে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জীববিজ্ঞান, রসায়ন, এবং পদার্থবিজ্ঞান পড়তে হয় ও যেকোনো মেডিকেল বিভাগে ভর্তি হয়ে এমবিবিএস কোর্স সম্পন্ন করতে হয়। তার কিছু অংশ বিশেষ দেখে নিন নিম্নে...।

১। বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনাঃ

ডাক্তার হতে হলে প্রথমেই স্কুল-কলেজ পর্যায়ে বিজ্ঞান বিভাগে পড়তে হবে। এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যা, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান বিষয় থাকতে হবে।

২।ভালো ফলাফল করাঃ

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল (মোট জিপিএ ৯.০০ বা তার কাছাকাছি) করতে হবে। জীববিজ্ঞানে অন্তত জিপিএ ৩.৫ থাকা জরুরি।

৩। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণঃ

এইচএসসি পাসের পর সরকারি বা বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হয়। এই পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও ইংরেজি বিষয়ে প্রশ্ন আসে। সেখান থেকে আপনাকে পাশ করতে হবে।

৪। MBBS কোর্সে ভর্তি হওয়াঃ

ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে মেডিকেল কলেজে MBBS (Bachelor of Medicine and Bachelor of Surgery) কোর্সে ভর্তি হতে হয়। এটি ৫ বছর মেয়াদী কোর্স।

৫। ইন্টার্নশিপ করাঃ

MBBS শেষ করার পর ১ বছর হাসপাতাল ভিত্তিক ইন্টার্নশিপ প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক। এর মাধ্যমে রোগী দেখা ও চিকিৎসা পদ্ধতির বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করা হয়।

৬। BMDC নিবন্ধন নেওয়াঃ

ইন্টার্নশিপ শেষে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (BMDC) থেকে নিবন্ধন নিতে হয়। নিবন্ধন ছাড়া ডাক্তার হিসেবে কাজ করা বৈধ নয়।

৭। বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হতে চাইলেঃ

MBBS শেষে কেউ চাইলে FCPS, MD, MS বা বিদেশে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে নির্দিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হতে পারেন।

৮। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়াশুনাঃ

ডাক্তার হওয়ার প্রথম ধাপ হলো উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান, রসায়ন এবং পদার্থবিদ্যা বিষয়গুলো নিয়ে পাস অনন্ত্য জরুরী।

তাই ডাক্তারি পড়তে হলে, বিশেষ জ্ঞান মেধা, পড়াশুনায় ভাল, রেজাল্ট ভাল, এই গুলো সব কিছু ভাল রাখতে হবে। তাহলে সম্ভব হবে আপনার ডাক্তারী পড়ার স্বপ্ন।

একজন ডাক্তারের বেতন কতঃ

একজন ডাক্তারের বেতন তার পদ, অভিজ্ঞতা, কর্মস্থল ও যোগ্যতা অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে। একজন ডাক্তার সে সরকারী না"কি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে আগে সেটা দেখতে হবে। কেননা সরকারি ও বেসরকারীর মধ্য বিভিন্ন ধরনের পার্থক্য থাকে ও এদের বেতনও আলাদা হয়। একজন ডাক্তার সরকারি হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য বিভাগে কর্মরত ডাক্তারদের বেতন সরকারি বেতন কাঠামো অনুযায়ী দেওয়া হয়।

নতুন যোগ দেওয়া ডাক্তার (সহকারী সার্জন বা মেডিকেল অফিসার) সাধারণত ২৫,০০০ থেকে ২৮,০০০ টাকা হয়ে থাকে। অন্যদিকে, বেসরকারি হাসপাতাল হালে বেতন প্রতিষ্ঠানভেদে ভিন্ন হয়। বেসরকারি হাসপাতালে একজন ডাক্তারের মাসিক বেতন সাধারণত ৩০,০০০ থেকে ৬০,০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। একসময় কাজের ভিত্তিতে  আস্তে আস্তে বেতন বেড়ে ওঠে। সরকারী ডাক্তারের বেতন প্রায় ১.৫ লক্ষ থেকে ২.৫লক্ষ গিয়ে দাঁড়ায়।

অন্যদিকে বেসরকারীতে একজন ডাক্তারের বেতন হয় ২ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ প্রর্যন্ত হয়ে থাকে। অর্থাৎ, ডাক্তারি পেশা পরিশ্রমসাধ্য হলেও এটি একটি সম্মানজনক ও আর্থিকভাবে স্থিতিশীল পেশা।

ডাক্তারের সর্বোচ্চ ডিগ্রী কিঃ

ডাক্তারের সর্বোচ্চ ডিগ্রি হলো “ডক্টর অব ফিলোসফি” (Ph.D) বা “ডক্টর অব মেডিসিন” (M.D), যা চিকিৎসা বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ একাডেমিক ও পেশাগত ডিগ্রি হিসেবে স্বীকৃতভাবে লাভ করে থাকেন। সাধারণত একজন শিক্ষার্থী এমবিবিএস (MBBS) সম্পন্ন করার পর এমডি (MD), এমএস (MS), বা এমফিল (MPhil) ডিগ্রিতে ভর্তি হন।

এর পর আরও উচ্চতর গবেষণার জন্য পিএইচডি (PhD) ডিগ্রি অর্জন করে থাকেন। এই পর্যায়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিশেষ শাখা যেমনঃ কার্ডিওলজি, নিউরোলজি, সার্জারি, গাইনোকোলজি, বা প্যাথলজি ইত্যাদিতে গভীর গবেষণা ও দক্ষতা অর্জন করা হয়। পিএইচডি বা এমডি ডিগ্রিধারী ডাক্তাররা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা, গবেষণা বা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা প্রদানে ভূমিকা রাখেন।

অর্থাৎ, ডাক্তারের সর্বোচ্চ ডিগ্রি শুধু চিকিৎসা নয়, গবেষণা ও শিক্ষাক্ষেত্রেও তাদের সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছে দেয়।

ডাক্তার আর ডক্টর এর মধ্য পার্থক্য কিঃ

“ডাক্তার” এবং “ডক্টর” শব্দ দুটি দেখতে ও শুনতে প্রায় একই হলেও, অর্থ ও ব্যবহারের দিক থেকে এদের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। “ডাক্তার” বলতে সাধারণত চিকিৎসা পেশার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিকে বোঝানো হয়, যিনি রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা করে থাকেন। যেমন— এমবিবিএস, বিডিএস, এমডি বা এমএস ডিগ্রিধারী চিকিৎসকরা ডাক্তার নামে পরিচিত। যেমনঃ তিনি একজন ভালো ডাক্তার, রোগীদের খুব যত্ন নিয়ে থাকেন।

অন্যদিকে “ডক্টর” শব্দটি মূলত একাডেমিক বা গবেষণামূলক উপাধি হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। যিনি কোনো বিষয়ে সর্বোচ্চ ডিগ্রি (Ph.D) অর্জন করেছেন তাকেও “ডক্টর” বলা হয়, যদিও তিনি চিকিৎসক নন। যেমনঃ ডক্টর রহমান ইতিহাস বিষয়ে পিএইচডি করেছেন। ডক্টর সব সময় যারা পি,এইচ,ডি করেছেন তাদের নামের আগে ব্যবহৃত হয়।

ডাক্তার মেডিকেল কোর্স কত বছরঃ

বাংলাদেশে ডাক্তার হওয়ার মেডিকেল কোর্সের মেয়াদ মোট ৫ বছর, এবং এর সঙ্গে আরও ১ বছর ইন্টার্নশিপ (প্রশিক্ষণ) বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ, একজন ডাক্তার হতে মোট ৬ বছর সময় লাগে। নিচে ধাপে ধাপে বিস্তারিত জেনে নিন? 

  •  এমবিবিএস কোর্স (MBBS Course)

এমবিবিএস কোর্স করতে ৫ বছর সময় লাগে। এই সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীরা অ্যানাটমি, ফিজিওলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, প্যাথলজি, ফার্মাকোলজি, সার্জারি, মেডিসিন, গাইনোকোলজি ইত্যাদি বিষয়ে পড়াশোনা করে লাগে।

ডাক্তার-মেডিকেল-কোর্স-কত-বছর

  • ইন্টার্নশিপ (Internship)

এমবিবিএস কোর্স করে ইন্টার্নশিপ করতে সময় লাগে ১ বছর। এমবিবিএস শেষ করার পর প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য হাসপাতালে ১ বছরের ইন্টার্নশিপ বাধ্যতামূলক। এই সময়ে তারা রোগীদের চিকিৎসা, সার্জারি ও ওয়ার্ডের কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জন করে। 

এই ৬ বছর শেষে শিক্ষার্থী একজন সনদপ্রাপ্ত ডাক্তার হিসেবে সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করতে পারেন বা উচ্চতর ডিগ্রি (MD/MS) করতে পারেন।

ডাক্তার হতে হলে কত টাকা লাগেঃ

বাংলাদেশে ডাক্তার হতে কত টাকা লাগে তা মূলত নির্ভর করে আপনি সরকারি নাকি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে পড়ছেন তার উপর। নিচে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো পড়ে নিন?

  •  সরকারি মেডিকেল কলেজে খরচ

  1. সরকারি মেডিকেল কলেজে পড়লে এককালীন টাকা দিতে হয়। ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা প্রর্যন্ত।
  2. ভর্তি ফি ও টিউশন ফি খুবই কম।
  3. মোট ৫ বছরের এমবিবিএস কোর্সে খরচ হয় এই খরচের মধ্যে কোর্স ফি, পরীক্ষা ফি, ও হোস্টেল চার্জ অন্তর্ভুক্ত থাকে।
  4. খাওয়া দাওয়া নিজের নিজের হয়ে থাকে। আপনি কি খাবেন সেটি আপনি জানেন।
  5. সরকারি কলেজে খরচ কম হলেও ভর্তি হওয়া খুব প্রতিযোগিতামূলক, কারণ আসন সংখ্যা সীমিত।

  • বেসরকারি মেডিকেল কলেজে খরচ

  1. মোট খরচ প্রায় ২১ লাখ ২৪ হাজার টাকা (ভর্তি ফি ও ইন্টার্নশিপ ফি সহ)।
  2. ভর্তি ফি প্রায় ১৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।
  3. ইন্টার্নশিপ ফি প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা। 
  4. এখানে খরচ তুলনামূলক অনেক বেশি।
  5. পুরো ৫ বছরের কোর্সের মোট খরচ হয় প্রায় ২৫ লাখ থেকে ৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত।
  6. কিছু নামকরা বেসরকারি মেডিকেলে খরচ আরও বেশি হতে পারে, প্রায় ৫০ লাখ টাকাও লাগতে পারে।

সুতরাং, যাঁরা ডাক্তার হতে চান, তাঁদের জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হলো সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়া, কারণ সেখানে খরচ অনেক কম এবং মানসম্মত শিক্ষা পাওয়া যায়।

লেখকের মক্তব্যঃ

আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছেন পড়াশুনা শেষ করে ডাক্তার হওয়ার জন্য কি কি যোগ্যতা লাগে ও কি করতে হয়। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে ডাক্তার হওয়ার জন্য কি করতে হয়।

প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।

আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন............ www.stylishsm.com



( আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url