আমেরিকা যাওয়ার যোগ্যতা - আমেরিকা যাওয়ার ২০টি সহজ উপায়? বিস্তারিত জেনে নিন?

আজকে আমরা জানবো যে বাইরের দেশে যেতে হলে আমেরিকা যাওয়ার যোগ্যতা কি কি লাগে একটা মানুষের। যেটি ব্যবহার করে সে ব্যাক্তি আমেরিকা যেতে পারবে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানবো যে এই আমেরিকা যাওয়ার ২০টি সহজ উপায় কি ও কীভাবে কাজে লাগাবেন। আসুন জানি?

ভূমিকাঃ

মানুষ বাইরের দেশে যাই বেশির ভাগ টাকা ইনকাম করার ক্ষেত্রে। টাকা সব মানুষের দরকার হয়ে থাকে জীবনে বেঁচে থাকার জন্য। টাকা ছাড়া কোনো কিছু হয় না জীবনে। আর সেই টাকা ইনকাম করার জন্য মানুষ বছর-বছর বাইরের দেশে কাটিয়ে দেয়। যাতে করে তার পরিবার সুখে থাকে।

আমেরিকা-যাওয়ার-যোগ্যতা
আমেরিকা-যাওয়ার-যোগ্যতা  

তাই আসুন জেনে রাখি যে, বাইরের দেশে টাকা হোক কিংবা পড়াশুনা করার জন্য আপনেরা যদি কখনো যেতে চান। তাহলে আপনাদের কি কি ডকোমেন্ট দরকার হবে তার মধ্যে পড়ে আমেরিকা যাওয়ার যোগ্যতা কি কি লাগবে সেটইর কাগজ। ও তার সাথে সাথে এটাও জানুন যে আমেরিকা যাওয়ার ২০ টি সহজ উপায় কীভাবে আপনি কাজে লাগাবেন। নিম্নে বিস্তারিত......।

আমেরিকা যাওয়ার যোগ্যতাঃ

আমেরিকা যাওয়ার জন্য যোগ্যতা নির্ভর করে ভিসার ধরন এবং ভ্রমণের উদ্দেশ্যের উপর। আমেরিকায় ভ্রমণ, পড়াশোনা, কাজ বা স্থায়ীভাবে বসবাস করতে হলে ভিসার আবেদনকারীর নির্দিষ্ট যোগ্যতা থাকতে হয়। ট্যুরিস্ট ভিসার (B1/B2) জন্য আর্থিক সামর্থ্য, ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং ফেরত আসার প্রমাণ দেখাতে হয়। যদি শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনার ভিসা (F-1) প্রয়োজন হয়, তবে স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ভর্তি নিশ্চিতকরণ এবং টিউশন ফি প্রদানের সামর্থ্য থাকতে হবে। 

কাজের জন্য (H1-B) ভিসার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট যোগ্যতা, যেমন একটি প্রতিষ্ঠানের চাকরির প্রস্তাব এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতা থাকতে হবে। সকল ভিসার ক্ষেত্রে বৈধ পাসপোর্ট, পরিচ্ছন্ন ব্যাকগ্রাউন্ড এবং আবেদন ফি পরিশোধ আবশ্যক। ভিসা ইন্টারভিউতে আত্মবিশ্বাস এবং সঠিক নথি উপস্থাপন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমেরিকা যাওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সব শর্ত পূরণ করতে হবে।

আমেরিকা যাওয়ার ২০টি সহজ উপায়ঃ

আমেরিকায় যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভিসা এবং সুযোগ রয়েছে। ভিসার ধরন এবং যোগ্যতা অনুযায়ী নিচে কিছু সহজ উপায় উল্লেখ করা হলো দেখে নিন?

  1.  শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ভিসার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা (F-1) যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে শিক্ষার্থী ভিসার মাধ্যমে যাওয়া।
  2.  এক্সচেঞ্জ ভিসা (J-1) শিক্ষার্থী, শিক্ষক বা গবেষকদের জন্য এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের মাধ্যমে যাওয়া।
  3. ভোকেশনাল ভিসা (M-1) বৃত্তিমূলক বা কারিগরি শিক্ষার জন্য যাওয়া।
  4. কাজের ভিসা H1-B ভিসা দক্ষ কর্মীদের জন্য স্পেশালিটি ওয়ার্ক ভিসা।
  5. L-1 ভিসাঃ যারা আন্তর্জাতিক কোম্পানিতে কাজ করছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাঞ্চে বদলি হতে চান।
  6. O-1 ভিসাঃ বিশেষ যোগ্যতা বা প্রতিভাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য।
  7. H-2B ভিসাঃ মৌসুমি বা অস্থায়ী কাজের জন্য।
  8. পারিবারিক স্পনসরশিপঃ যদি আপনার নিকটাত্মীয় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হন, তাহলে পারিবারিক ভিসার মাধ্যমে।
  9. বিবাহের মাধ্যমে (K-1) যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিককে বিয়ে করলে ফিয়ান্সে ভিসা।
  10. অভিবাসন ও স্থায়ী বসবাস জন্য ডাইভার্সিটি ভিসা লটারি (DV) লটারি গ্রিন কার্ড লটারির মাধ্যমে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ।
  11. অ্যাসাইলাম বা রিফিউজি বা রাজনৈতিক বা মানবিক কারণে আশ্রয় প্রার্থনা।
  12. EB-5 ভিসাঃ যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগের মাধ্যমে স্থায়ী বসবাস।
  13. ব্যবসা ও বিনিয়োগ এর জন্য B1 ভিস পাওয়া যায় ব্যবসায়িক সফরের জন্য।
  14. E-2 ভিসাঃ হচ্ছে যে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা শুরু করার জন্য বিনিয়োগকারীর ভিসা।
  15. পর্যটন ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে  B2 ভিসা পাওয়া যায়।
  16. অন-অ্যারাইভাল মেডিকেল ভিসা জরুরি চিকিৎসার জন্য।
  17. রিসার্চ প্রোগ্রাম বিভিন্ন জিনিস গবেষণার জন্য ভিসা পাওয়া যায়।
  18. খেলাধুলার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য ভিসা রয়েছে।
  19. শিল্পী বা সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের জন্য ভিসা রয়েছে।
  20. কনফারেন্স বা ওয়ার্কশপ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে অংশগ্রহণের জন্য ভিসা রয়েছে।

উপরে উল্লেখিত উপায়গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি আপনার যোগ্যতা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বেছে নিতে পারেন। প্রতিটি পদ্ধতিতে সঠিক নথি এবং আবেদন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা জরুরি।

আমেরিকা যাওয়ার সহজ উপায়ঃ

আমেরিকা যাওয়ার যোগ্যতা কি সেটি আমরা জেনেছি এবার জানবো যে আমেরিকা যাওয়ার সহজ উপায় হলো সঠিক ভিসার জন্য আবেদন করা এবং প্রয়োজনীয় নথি সঠিকভাবে জমা দেওয়া। ভ্রমণের উদ্দেশ্য অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ভিসার ব্যবস্থা রয়েছে, যেমন ট্যুরিস্ট ভিসা (B1/B2), স্টুডেন্ট ভিসা (F-1), কাজের ভিসা (H1-B), বা ডাইভার্সিটি ভিসা লটারি (DV লটারি)।

  • ট্যুরিস্ট ভিসা (B1/B2)

পর্যটন, চিকিৎসা বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে আমেরিকা যাওয়ার জন্য B1/B2 ভিসা সবচেয়ে সহজ। সঠিকভাবে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে ও তার সাথে আর্থিক সামর্থ্যের প্রমাণ এবং ফেরত আসার নিশ্চয়তা দিলে এটি সহজে পাওয়া যাবে।

  • ডাইভার্সিটি ভিসা লটারি (DV লটারি)
প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্র সরকার DV লটারি আয়োজন করে, যেখানে নির্বাচিত হলে গ্রিন কার্ডের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ মেলে।

  • স্টুডেন্ট ভিসা (F-1)

আমেরিকা যাওয়ার যোগ্যতা অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার জন্য F-1 ভিসা একটি জনপ্রিয় এবং সহজ উপায়। স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এবং আর্থিক সামর্থ্য প্রমাণ করলে এই ভিসা পাওয়া যায়।

  • পারিবারিক স্পনসরশিপ

যদি কোনো নিকটাত্মীয় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হন, তাহলে তারা পারিবারিক স্পনসরশিপের মাধ্যমে আপনাকে নিয়ে যেতে পারেন খুব সহজে আমেরিকাতে।

আমেরিকা যাওয়ার সহজ উপায় হলো আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী সঠিক ভিসার জন্য আবেদন করা এবং প্রয়োজনীয় নথি জমা দেওয়া। সঠিক এবং নির্ভুল তথ্য দিয়ে আবেদন করলে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ হয়।

আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতাঃ

আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা (F-1) পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু যোগ্যতা পূরণ করতে হয়। এই ভিসা তাদের জন্য, যারা যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা বা স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করতে চান। নিচে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতাগুলো উল্লেখ করা হলোঃ

১। স্বীকৃত প্রতিষ্ঠানে ভর্তিঃ

আপনাকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যেমন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ বা ভাষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হতে হবে। এই প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে I-20 ফরম (ভিসা স্পনসরশিপের প্রমাণপত্র) নিতে হবে।

২। অর্থনৈতিক সামর্থ্যঃ

আপনার পড়াশোনা এবং থাকার খরচ চালানোর জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক সামর্থ্য থাকতে হবে। এর জন্য ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা আর্থিক সহায়তার প্রমাণ জমা দিতে হবে।

৩। ইংরেজি দক্ষতাঃ

TOEFL, IELTS বা অন্য কোনো স্বীকৃত ইংরেজি দক্ষতার পরীক্ষার স্কোর থাকতে হবে। যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ভিসা ইন্টারভিউয়ে দেখানো হবে।

৪। শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ

আপনার পূর্বের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র জমা দিতে হবে। যেমনঃ ট্রান্সক্রিপ্ট, সার্টিফিকেট এবং মার্কশিট ইত্যাদি।

৫। ফেরত আসার প্রমাণঃ

আপনার নিজ দেশে ফেরত আসার ইচ্ছা এবং পরিকল্পনা প্রদর্শন করতে হবে। এর জন্য সম্পত্তি বা পারিবারিক বন্ধনের মতো প্রমাণ দেখানো যেতে পারে।

৬। সঠিক আবেদন ফরমঃ

অনলাইনে DS-160 ফরম পূরণ করতে হবে এবং সঠিক তথ্য জমা দিতে হবে।

৭। ভিসা ফি পরিশোধঃ

ভিসার আবেদন ফি এবং SEVIS ফি (Student and Exchange Visitor Information System Fee) পরিশোধ করতে হবে।

৮। ভিসা ইন্টারভিউঃ

ইউএস দূতাবাস বা কনস্যুলেটে ভিসা ইন্টারভিউতে উপস্থিত হতে হবে এবং সেখানে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।

আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি, আর্থিক সামর্থ্য, এবং ইংরেজি দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক প্রক্রিয়া মেনে আবেদন করলে এবং ইন্টারভিউতে ভালো পারফর্ম করলে এই ভিসা পাওয়া সহজ হয়।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার উপায়ঃ

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার জন্য বিভিন্ন উপায় রয়েছে, যা ভ্রমণের উদ্দেশ্য এবং ভিসার ধরন অনুযায়ী নির্ভর করে। নিচে কিছু সাধারণ উপায় উল্লেখ করা হলো প্রয়োজন অনুসারে?

১। ট্যুরিস্ট ভিসা (B1/B2) 

যদি আপনি পর্যটন, ব্যবসায়িক সফর বা চিকিৎসার জন্য আমেরিকা যেতে চান। তবে B1/B2 ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এ জন্য পাসপোর্ট, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, হোটেল বুকিং, এবং ভ্রমণের পরিকল্পনা জমা দিতে হয়।

বাংলাদেশ-থেকে-আমেরিকা-যাওয়ার-উপায়
বাংলাদেশ-থেকে-আমেরিকা-যাওয়ার-উপায় 

২। স্টুডেন্ট ভিসা (F-1)

আমেরিকা যাওয়ার যোগ্যতা হিসাবে যদি আপনি উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকা যেতে চান, তবে স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ভর্তি নিশ্চিতকরণ পত্র (I-20 ফরম) নিয়ে F-1 ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ইংরেজি দক্ষতার জন্য TOEFL বা IELTS পরীক্ষায় ভালো স্কোর থাকা জরুরি।

৩।  কাজের ভিসা (H1-B)

যারা চাকরি করতে চান, তারা H1-B ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। এজন্য একজন আমেরিকান নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান থেকে চাকরির প্রস্তাব পেতে হবে।

৪। ডাইভার্সিটি ভিসা লটারি (DV লটারি)

আমেরিকায় স্থায়ী বসবাসের জন্য ডাইভার্সিটি ভিসা লটারি একটি জনপ্রিয় উপায়। এটি প্রতিবছর আয়োজিত হয় এবং বিজয়ীরা গ্রিন কার্ড পান।

৫। পারিবারিক স্পনসরশিপ ভিসাঃ

যদি আপনার কোনো নিকটাত্মীয় আমেরিকায় স্থায়ী বাসিন্দা বা নাগরিক হন, তবে তারা আপনাকে স্পনসর করে পরিবারভিত্তিক ভিসার মাধ্যমে নিয়ে যেতে পারেন।

৬। বিনিয়োগকারী ভিসা (EB-5)

যদি আপনি আমেরিকায় বড় বিনিয়োগ করতে পারেন, তবে EB-5 ভিসার মাধ্যমে স্থায়ী বাসিন্দার অনুমতি পাওয়া সম্ভব।

৭। অ্যাসাইলাম বা রিফিউজি ভিসা

যদি আপনি রাজনৈতিক, ধর্মীয় বা সামাজিক কারণে বিপদগ্রস্ত হন, তবে অ্যাসাইলাম বা রিফিউজি ভিসার মাধ্যমে আমেরিকা যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

  1. ৮। ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াঃ
  2. DS-160 ফরম পূরণ করুন।
  3. আবেদন ফি জমা দিন।
  4. ইউএস দূতাবাসে ভিসা ইন্টারভিউয়ের জন্য সময় নির্ধারণ করুন।
  5. ইন্টারভিউয়ের সময় প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিন এবং প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিন।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার জন্য আপনার উদ্দেশ্য অনুযায়ী সঠিক ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। ভিসার আবেদন প্রক্রিয়াটি সঠিকভাবে অনুসরণ করলে এবং সমস্ত নথি প্রস্তুত থাকলে আমেরিকা যাওয়া সহজ হবে।

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগেঃ

আমেরিকা যাওয়ার যোগ্যতা না গিয়ে এমনি বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে যে খরচ বা ভিসার ধরন, ফ্লাইটের টিকিট, এবং অন্যান্য প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করে। সাধারণত, ট্যুরিস্ট ভিসার (B1/B2) জন্য ভিসা ফি প্রায় ১৬০ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৮,০০০-২০,০০০ টাকা) লাগে। শিক্ষার্থীদের জন্য F-1 স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে ভিসা ফি একই থাকে। তবে অতিরিক্ত SEVIS ফি প্রায় ৩৫০ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৮,০০০-৪০,০০০ টাকা) দিতে হয়। এছাড়া, ফ্লাইটের খরচও একটি বড় অংশ।

ঢাকা থেকে আমেরিকার বড় শহরগুলো (যেমন নিউইয়র্ক বা লস অ্যাঞ্জেলেস) পর্যন্ত সরাসরি বা ট্রানজিট ফ্লাইটে টিকিটের দাম সাধারণত ১,০০,০০০ থেকে ২,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, যা বুকিংয়ের সময় এবং এয়ারলাইনের উপর নির্ভর করে। তবে ব্যাংক স্টেটমেন্টে পর্যাপ্ত অর্থ প্রদর্শন করতে হয়, যা আপনার ভ্রমণ এবং থাকার খরচ সামাল দিতে সক্ষম। এই খরচ অন্তর্ভুক্ত করে হোটেল বুকিং, খাদ্য এবং দৈনন্দিন ব্যয়ের প্রমাণ। মোট খরচ আনুমানিক ১,৫০,০০০ থেকে ৩,০০,০০০ টাকা বা তার বেশি হতে পারে।

আমেরিকা ট্যুরিস্ট ভিসা খরচ কত টাকাঃ

আমেরিকা ট্যুরিস্ট ভিসা (B1/B2) এর জন্য ভিসা ফি প্রায় ১৬০ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৮,০০০-২০,০০০ টাকার মতো। ভিসা আবেদন ফি ছাড়াও, ভ্রমণের অন্যান্য খরচ যেমন ফ্লাইটের টিকিট, ব্যাংক স্টেটমেন্টে পর্যাপ্ত অর্থ প্রদর্শন এবং হোটেল বুকিং খরচও যুক্ত হয়। সাধারণত, ভিসার প্রক্রিয়া এবং ভ্রমণের মোট খরচ আনুমানিক ১,৫০,০০০ থেকে ২,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

লেখকের মক্তব্যঃ

আসা করি যে আপনি বুঝতে পেরেছি বাইরের দেশে যেতে হলে আমেরিকা যাওয়ার যোগ্যতা কি কি লাগে। ও তার সাথে সাথে এটাও জানলেন যে আমেরিকা যাওয়ার ২০টি সহজ উপায় গুলো কি কি।

প্রশ্ন থাকলে কিংবা ভাল লাগলে কমেন্ট করবেন ও শেয়ার করবেন আপনার প্রিয় মানুষের সাথে।

আরো কিছু জানতে বা শিখতে চাইলে ভিজিট করুন.................. www.stylishsm.com



আপনার প্রিয় ব্লগার স্টাইলিশ )







































এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

স্টাইলিশ এস এম নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হবে।

comment url